ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ২ ১৪৩১

নিজেদের ‘ভুল স্বীকার’ করতে আ.লীগ অফিসে যাচ্ছে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

অবশেষে যেন বোধোধয় হলো বিএনপির। নিজেদের করা এতোদিনের ভুলে অনুতপ্ত হয়ে এবার দলটির নেতৃবৃন্দ ‘সরি’ বলতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাচ্ছেন। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টায় বিএনপির প্রচার প্রকাশনা কমিটির সদস্য সচিব ও দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে ‘ভুল স্বীকার’ করবেন কিনা, সে বিষয়ে তিনি পরিস্কার করে কিছু বলেননি।

বিশিষ্টজনদের ভাষ্য, বিএনপি নেতারা মুখে যাই বলুক না কেন, যে কারণেই আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যাক না কেন, সব কিছুর পেছনেই একটা আলাদা স্বার্থ লুকিয়ে আছে তাদের। নিজেদের অতীত কৃতকর্মের জন্য ভুল স্বীকার করে তারা যে সরি বলবেনা, তার কি গ্যারান্টি!

দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্যমতে, মাঠের রাজনীতিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ রাজনৈতিক দল বিএনপি সাংগঠনিকভাবে এখন মৃতপ্রায়। ‘লোক দেখানো’ দলীয় কর্মসূচি ডাকা হলেও সেখানে মেলেনা নেতাকর্মীদের সানুগ্রহ উপস্থিতি। বরং সভা-সমাবেশ-বিক্ষোভে এসে তারা মেতে থাকেন খোশগল্প আর সেলফি তোলায়। বাকীটা সময় দলের বিপরীতে তারা সময়ক্ষেপণ করেন নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্যে। এসব দেখে নিরুপায় হয়ে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা এবার সরকারের অনুকম্পা পেতে আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে রওয়ানা হয়েছেন।

বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বাংলা নিউজ ব্যাংকের সঙ্গে আলাপনে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, দলের পক্ষ থেকে ভুল স্বীকার করার তথ্যটি সত্য নয়। দলের বিরোধী অংশ এই প্রোপাগাণ্ডা ছড়িয়েছে। মূলত মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দলীয় কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাচ্ছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। সশরীরে আমি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার এখন আওয়ামী লীগের গুলিস্তান অফিসের দিকে রওয়ানা হয়েছি।

এ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কী কারণে বিএনপি নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগ অফিসে যাচ্ছেন, সেটা তারা খুব ভালো করেই জানেন। তাছাড়া আরেকটা কথা ভুলে গেলে চলবে না, নিজেদের স্বার্থ ব্যতীত কোন কিছুই চিন্তা করেনা খালেদা-তারেকের অনুসারীরা। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটবে না বোধকরি। নিমন্ত্রণ পত্র দিতে যাওয়ার নামে তারা মূলত সরকারের কাছে যাচ্ছেন নিজেদের যাতে সুবিধা আদায় হয়। কিন্তু সে আশায় গুঁড়ে বালি। অনুকম্পা তো দূরে থাক, কোনভাবেই তারা এই বিষয়ে কথা বলে সরকারের কাছে সুবিধা করতে পারবে না।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়