ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

নির্বাচন কমিশন আইন অনন্য মাইলফলক: ওবায়দুল কাদের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ২৯ জানুয়ারি ২০২২  

ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের ইতিহাসে গণমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন আইন এক অনন্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এ আইন আরো একধাপ এগিয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার মন্ত্রী তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে জনগণের বহুল প্রত্যাশিত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ পাস হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া সংবিধানের অভিপ্রায় অনুযায়ী দেশের ৫০ বছর পর বিলটি পাস হওয়ায় সংসদ নেতাসহ সংসদের সকল সদস্যদের প্রতি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র ও জনমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করণে যা কিছু হয়েছে তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে।  

তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মতো নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগের শাসনামলে সবরকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংবিধানের আলোকে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশের জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে এ আইন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। 

তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা প্রণীত এ আইনকে দেশের একটি চিহ্নিত মহল অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশে গ্রহণযোগ্য নয় বলে প্রচার করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব কমিশনার নিয়োগের এ আইন না মানা কারণ হলো দূরভীসন্ধিমূলক।  তবে যে দল বা ব্যক্তি দেশের জনগণের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করতে কোটি কোটি ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করে তাদের কাছ থেকে এ ধরনের উদ্বত্যপূর্ণ মন্তব্যই প্রত্যাশিত ছিল। 

তিনি আরো বলেন, বিএনপি মহাসচিব দেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের পরিপন্থী গণধিকৃত গোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য রেখেছেন তা বাংলাদেশের গণতন্ত্র, জাতীয় সংসদের সকল সদস্য ও দেশের সংবিধান এবং আইনের শাসনের প্রতি নির্মম উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আইনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে মিথ্যা বিভ্রান্তিমূলক মনগড়া বক্তব্য দেন। দেশের আইন ও সংবিধানের প্রতি বিএনপির কোনো বিশ্বাস নেই। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি জনগণের ভোট নয়, বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে চায়। বিএনপি লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি স্বয়ং মির্জা ফখরুল নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয়, বিএনপি মহাসচিব নিজে স্বাক্ষর করে দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মার্কিন প্রশাসনের রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি দিয়েছে তা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। 

বিএনপি এখন নির্বাচন ছাড়া ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে উন্মত্ত হয়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জাতির কাছে স্পষ্ট করতে হবে, তারা কাদের দেওয়া টাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন? বাংলাদেশ থেকে এ অর্থ কোন চ্যানেলে বিদেশে পাচার করা হয়েছে? তার হিসাব কি বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে দিয়েছেন? বিএনপি মহাসচিবের কাছে এসব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আহ্বা জানাই। তা না পারলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো নৈতিক ও আইনগত অধিকার থাকবে না।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়