ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

নেত্রকোনায় ৩ টি নদী ও ১২টি খাল পুণঃখননের উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ৩১ জানুয়ারি ২০২২  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত সায়াই নদীসহ তিনটি নদী ও ১২টি খাল পুণঃখননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

এলাকার নদীর প্রবাহ চালু রাখা এবং জমিতে সেচ সুবিধার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এজন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০৫ কোটি টাকা।
সোয়াই নদী ছাড়া অন্য দুটি নদী হচ্ছে কালিহর নদী এবং লাউয়ারী নদী। এই তিনটি নদীর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৮০ কিলোমিটার। এই তিনটি নদীর কোনটিতেই এখন আর কোন পানি নাই। 
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শ্যামগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত সোয়াই নদীর দৈর্ঘ্য ৪৬ কিলোমিটার। ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীত দিকে ব্রহ্ম্রপুত্র নদী থেকে উৎপন্ন সোয়াই নদীটি পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
নেত্রকোনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, তিনটি নদীসহ ১২টি খালের ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৪০০ ঘনফুট মাটি কাটা হবে। এজন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৫ কোটি টাকা। খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে। 
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, নদীগুলো পুণঃখনন কাজ এলকাবাসীর জন্য ভালো খবরই শুধু নয়, এতে করে প্রাকৃতিক পরিবেশের যেমন উন্নতি হবে, তেমনি কৃষকরা পাবে সেচ সুবিধা। তিনি এজন্য প্রশাসনের পক্ষ হতে সকল প্রকার সহয়াতা করা হবে বলেও জানান। 
সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীরপ্রতীক) বলেন, উল্লিখিত নদী খননের জন্য তিনি বেশ কয়েক বছর যাবত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অবশেষে সেই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে ও তিনি আশা প্রকাশ করেন। 
স্থানীয় জনগণ জানায়, কালের আবর্তে এই নদীটি ধীরে-ধীরে পলি পরে ভরাট হয়ে যায়। এখন নদী বলতে এর কোন অস্তিত্ব নাই। যে যেভাবে পারে নদী দখল করেছে এবং স্থাপনা নির্মাণ ও করেছে। বাকি দুটি নদীরও একই অবস্থা।
এলাকাবাসীর দাবির মুখে এবং নদীর পরিবেশ পুণঃরুদ্ধারে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরিপ চালায় এবং এই এলাকার মৃতপ্রায় তিনটি নদী পুনঃখননের জন্য প্রকল্প তৈরী করে। এছাড়া ছোট বড় ১২টি খালও পুণঃখননের প্রকল্প হাতে নেয়। 
শ্যামগঞ্জ নিবাসী ফেরদৌস বাবুল বলেন, নদীগুলো পুনঃখনন হলে এলাকাবাসী শুধু উপকৃতই হবে না, কৃষকরা সেচ সুবিধা পাবে। এই এলাকার ব্যবসায়ী তিলক রায় বলেন, নদীগুলো দ্রুত খনন করা প্রয়োজন। এতে করে পরিবেশ উন্নত হবে। মৎস্য সম্পদ বাড়বে। 
নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এফ এস মোবারক আলী বলেন, তিনটি নদীসহ ১২টি খাল পুণঃখনন কাজ শেষ হলে কৃষকদেরই উপকার হবে বেশি। কারণ তারা সেচ সুবিধা পাবে। কৃষকরা আর্থিক ভাবে ও লাভবান হবে। 

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়