ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নড়াইলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের মাঝে ২ কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ১৩ জানুয়ারি ২০২২  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস কোভিট-১৯ প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুষিয়ে নিতে কৃষি, মৎস্য, হাঁস-মুরগী, গরুর খামারি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সোনালী ব্যাংক নড়াইল শাখার পক্ষ থেকে ১কোটি ৯৭ লাখ টাকার স্বল্পসুদে প্রণোদনা ঋণ প্রদান করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।

২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সোনালী ব্যাংক নড়াইল শাখা মোট ১৩৫ জন কৃষি, মৎস্যচাষি, হাঁস-মুরগী, গরুর খামারি,ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের মাত্র ৪শতাংশ লভ্যাংশ হারে এ প্রণোদনা ঋণ প্রদান করেছে।যা করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, মৎস্যচাষি, হাঁস-মুরগী, গরুর খামারি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীসহ উদ্যোক্তাদের জন্য ইতিবাচক দিক বলে মন্তব্য করেছেন সুবিধাভোগী ও ব্যাংক কর্মকর্তারা।

সোনালী ব্যাংক নড়াইল শাখার ব্যবস্থাপক মফিদুল ইসলাম জানান, করোনা দুর্যোগে কৃষি ও অকৃষি খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ অর্থবছরে স্বল্পসুদে সোনালী ব্যাংক নড়াইল শাখা থেকে মোট ১কোটি ৯৭ লাখ টাকার প্রণোদনা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।এর মধ্যে চলতি অর্থবছরে ১কোটি ৫লাখ টাকার ঋণ প্রদান কার্যক্রম শেষের পথে।স্বল্পসুদের এ প্রণোদনা ঋণের চাহিদা ব্যাপক থাকায় চলতি অর্থবছরের শেষ আগামী জুনের অনেক আগেই ঋণ প্রদান কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে।চাহিদা থাকায় প্রণোদনা ঋণের মঞ্জুরী আরো বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাবো।আশাকরি বর্দ্ধিত ঋণের মঞ্জুরী পাবো।তখন আরো বেশি লোককে প্রণোদনা ঋণ দিতে পারবো।ব্যাংকের অফিসকালীন সময় শেষে আমরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে করোনাকালীন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি, মৎস্যচাষিসহ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের  খুঁজে বের করে তাদের প্রণোদনা ঋণ গ্রহণে উৎসাহ প্রদান করে থাকি বলে তিনি জানান।

নড়াইল পৌরসভাধীন মছিমদিয়া-হাটবাড়িয়া এলাকার করিম এগ্রো ফার্ম এন্ড ফিসারিজের স্বত্ত্বাধিকারী সাজেদুল করীম জানান, তিনি হাটবাড়িয়া এলাকায় ২একর জমিতে মাছের ঘের করেছেন। এছাড়া গরু-ছাগলের ফার্মও গড়ে তুলেছেন।করোনাকালীন ব্যবসা মন্দা হওয়ায় চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হন।পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সোনালী ব্যাংক নড়াইল শাখা থেকে প্রণোদনা ঋণ দেয়া হচ্ছে। তিনি ব্যাংকের এ শাখা থেকে ২০লাখ টাকা প্রণোদনা ঋণ নিয়ে মাছের ঘেরের এবং গরুর ফার্মের ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।ঋণের টাকা বিনিয়োগ করে তিনি লাভের মুখ দেখা শুরু করেছেন বলে জানান।

পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা ইশরাত জাহান জানান, তিনি তৈয়বা মুরগী ফার্ম নামে একটি হাঁস-মুরগী খামার গড়ে তোলেন।করোনা দুর্যোগে তার এ ব্যবসায় ভাটা পড়ে।ক্ষতির সম্মূখীন হন তিনি। পরবর্তীতে সোনালী ব্যাংক নড়াইল শাখা থেকে ১লাখ টাকা প্রণোদনা ঋণ নিয়ে মুরগী ফার্মকে আবার চাঙ্গা করে তুলেছেন।শহরের চৌরাস্তা এলাকার চা বিক্রেতা কোহিনুর টি ষ্টলের স্বত্ত্বাধিকারী কোহিনুর বেগম বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চা ষ্টল বন্ধ থাকায় আয়ের পথও বন্ধ হয়ে যায়।অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটতে থাকে।এক পর্যায়ে স্বল্পপুঁজিটুকোও ভেঙ্গে খেতে শুরু করি।পরবর্তীতে দোকান চালু করতে হিমশিম খেতে থাকি। সোনালী ব্যাংক নড়াইল শাখার কর্মকর্তারা আমাকে স্বল্পসুদের প্রণোদনা ঋণের কথা বলেন।আমি পরবর্তীতে কোন প্রকার হয়রানি ছাড়াই ৫০হাজার টাকা প্রণোদনা ঋণ পাই।করোনা দুর্যোগকালীন ক্ষতি পরবর্তী টি ষ্টলে নতুনভাবে বিনিয়োগ করে আয়ের মাধ্যমে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছি বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়