ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

পিরিয়ডে বেশি ব্লিডিং কীসের লক্ষণ? মায়োমা নয়তো

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  

পিরিয়ডে বেশি ব্লিডিং কীসের লক্ষণ? মায়োমা নয়তো

পিরিয়ডে বেশি ব্লিডিং কীসের লক্ষণ? মায়োমা নয়তো

শরীরে কোনো রকমের ব্যথা বা অস্বস্তি হয় না। তবে, অনেকসময় এর উপসর্গগুলি এতটাই অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে যা সঠিক চিকিৎসা না করলে পরবর্তীকালে তা থেকে গর্ভধারণে অসুবিধা ও ওজনবৃদ্ধির মতো সমস্যা হতে পারে। যদিও মায়োমা বা জরায়ুর টিউমার কেন হয় বা এর উৎস কী তা নিয়ে এখনো কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না

পিরিয়ডের  সময়ে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা বা অত্যধিক ব্লিডিং হয় এবং পিরিয়ডও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ মেনে হয় না । এমনো দেখা যায়, এই সাব মিউকাস ফাইব্রয়েডসের কারণে সারা মাস ধরে ব্লিডিং চলছে। সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের জরায়ুতেই এই ধরনের টিউমারের উপস্থিতি দেখা যায়। আসলে ফাইব্রয়েডস সাধারণত তিনটি জায়গায় দেখা যেতে পারে। যেমন জরায়ুর আবরণের বাইরের দিকে। কখনো আবার জরায়ুর আবরণের মধ্যে, যাকে ইন্ট্রামিউরাল বলে। আবার জরায়ুর যে অংশ থেকে পিরিয়ডস হয়, সেই ক্যাভিটি-তেও হতে পারে। এই সাব মিউকাস ফাইব্রয়েডসই সবচেয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করে। 

জানুন পুষ্টিবিদের পরামর্শ

হরমোন - ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হলো ডিম্বাশয় দ্বারা উৎপাদিত হরমোন। এই হরমোন প্রতিটি মাসিক চক্রের সময় এবং হতে পারে জরায়ুর আস্তরণের পুনর্জন্ম ঘটায় এবং ফাইব্রয়েডের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। পারিবারিক ইতিহাস - পরিবারে ফাইব্রয়েড থাকলে এই অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদি মা, বোন বা দানি-নানি থাকে তাহলে এই আশঙ্কা থেকে যায়।

গর্ভাবস্থায় ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। শরীর গর্ভাবস্থায় ফাইব্রয়েডগুলো দ্রুত বিকাশ এবং বৃদ্ধি পেতে পারে। ভিটামিন ডি’র অভাব হলে এই সমস্যা হতে পারে। অত্যধিক লাল মাংস খাওয়া এবং পর্যাপ্ত সবুজ শাকসবজি, ফল বা দুগ্ধজাত খাবার না খেলে এই সমস্যা হতে পারে। ওজন বেশি হলে চর্বি কোষ আরো ইস্ট্রোজেন তৈরি করে এবং হরমোনের হঠাৎ পরিবর্তন হলে ফাইব্রয়েড বৃদ্ধি পায়।

মায়োমা বা জরায়ুর টিউমারের লক্ষণ:

>>পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্লিডিং।
>>তলপেট বা কোমরে প্রচণ্ড ব্যাথা।

অনেকক্ষেত্রে পিরিয়ড স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি দিন ধরে চলতে থাকে। পেটের নিচের দিকে ব্যাথা বা চাপ সৃষ্টি হলে।
৩০ পেরিয়েছেন? নারীদের যেসব মেডিকেল টেস্ট করানো উচিত:

জরায়ুর টিউমারের ঝুঁকি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে যা করা জরুরি

খাদ্যতালিকা পরিবর্তন করতে হবে। মাংস এবং উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে, উচ্চ ফ্ল্যাভোনয়েডযুক্ত খাবার, রান্না করা সবুজ শাকসবজি, তাজা ফল, লেবু বেছে নিন। গ্রিন টি, ঠান্ডা পানি, টুনা বা স্যামন এড়িয়ে চলুন। ওজন কমান। এটি ফাইব্রয়েড প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। স্ট্রেস লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্য বজায় রাখুন। রক্তচাপ কমান। 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়