‘বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ১৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে’
নিউজ ডেস্ক
প্রতীকী ছবি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর পুরোপুরি চালু হলে ১৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত শিল্পনগরটির ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।
পবন চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের সঙ্গে মিরসরাইবাসীর আবেগের জায়গা আছে। তারা নিজের ঘরবাড়ি, পৈত্রিক ভিটামাটি সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হয়েছেন। মিরসরাইবাসীর ত্যাগের ফসল এই শিল্পনগর। শিল্পনগরটি পুরোপুরি চালু হলে ১৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।’
ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২১ জনকে পাঁচ কোটি ১৪ লাখ, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ জনকে ছয় কোটি ২২ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার ১৩২ জনকে ২২ কোটি ৫১ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়েছে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটাই শেষ নয়। ক্ষতিগ্রস্তদের আবাসন পল্লী (বাড়ি) করে দেয়া হবে। ৪০০ পরিবারকে ঘর দেয়া হবে। সেখানে মসজিদ, স্কুল, কলেজ, কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি হবে।’
তারুণ্যকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরসহ ১০০টি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে ফেনীর সোনাগাজী পর্যন্ত ৩০ হাজার একর জমিতে তৈরি হচ্ছে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল। সেখানে ২৫টি আলাদা জোন নির্মাণ হবে।
বিশেষ এই অঞ্চলে দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ নিশ্চিত হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানান বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে এক হাজার ৫৪ একর জমিতে গড়ে ওঠবে ‘ইন্ডিয়ান ইকোনমিক জোন’। পাশাপাশি একটি আইটি পার্ক করতে ৭২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ভারত। এছাড়া সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন কোম্পানিও এখানে বিনিয়োগ করবে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, শিল্পনগরে বিনিয়োগের ব্যাপক আগ্রহ ও আবেদন রয়েছে। করোনাকালেও দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। নিশ্চিত হয়েছে এক বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ।
২০১৬ সালে চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় শুরু হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর প্রতিষ্ঠার কাজ। এর মধ্যে ১৬ হাজার একর জমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে। বাকি অংশ ভূমি উন্নয়নের কাজ শেষে দেয়া হবে বলে জানান বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজার) ম্যানেজার মো. শরীফুল বাশার।
সরকারের সাড়ে চারশো কোটি টাকার এই প্রকল্প ২০২৫ সালে সম্পূর্ণ হতে পারে।
- ‘টাকা পে’ কার্ডে যেভাবে লেনদেন করবেন
- দেশেই বাজাজের অটোরিকশা তৈরি করবে রানার
- ‘নগদ’ থেকে কোটি টাকা লাভ করলো ডাক বিভাগ
- রপ্তানিমুখী শিল্পে অতিরিক্ত নগদ সহায়তা দেবে সরকার
- এবারের বাণিজ্য মেলা হতে পারে অনলাইনে
- বাংলাদেশে এশিয়ায় সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ করবে জাপান
- প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় করোনায়ও সচল অর্থনীতি
- শেরেবাংলায় নয়, এবার বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে
- বিকল্প ১৩ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি
- কক্সবাজার ঢেলে সাজাতে ২৪৯৭ কোটি টাকা ঋণ দেবে জাইকা