বাংলা আমার মায়ের ভাষা
নিউজ ডেস্ক
ফাইল ছবি
১৯৫৩ সালে দেড় বছর কারাভোগের পর মুক্তি পান মমতাজ। ২০১২ সালে তিনি মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন। বায়ান্নর একুশের প্রতিবাদ মিছিল থেকে মমতাজ বেগমের ছাত্রী ইলা বকশী, বেনু ধর ও শাবিনার মতো কিশোরীদের পুলিশ সেদিন গ্রেপ্তার করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ছাড়াও জগন্নাথ কলেজসহ স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ব্যাপকভাবে সব কর্মসূচিতে অংশ নেন। ঢাকার বাইরে সিলেট কুলাউড়ার সালেহা বেগম ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী থাকাকালীন ভাষাশহীদের স্মরণে স্কুলে কালো পতাকা উত্তোলন করেন। এ কারণে সেখানকার জেলা প্রশাসকের আদেশে স্কুল থেকে তাকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এরপর সালেহা বেগমের পক্ষে আর লেখাপড়া করা সম্ভব হয়নি।
ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নারীদের ভূমিকা গৌরবের। পাকিস্তান আর্মি ও পুলিশের বন্দুকের নলকে উপেক্ষা করে ভাষার দাবির মিছিলগুলোতে তারা সাহসিকতার সঙ্গে অংশগ্রহণ করে। তবে ভাষা আন্দোলনে সবচেয়ে বেদনার দিন ছিল ১৯৫৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। সেদিন ১৪৪ ধারা ভাঙার দায়ে পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন ছাত্রী গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে লায়লা নূর, প্রতিভা মুৎসুদ্দি, রওশন আরা বেনু, ফরিদা বারি, জহরত আরা, কামরুন নাহার লাইলি, হোসনে আরা, ফরিদা আনোয়ার ও তালেয়া রহমান অন্যতম।
ভাষা আন্দোলনে তমদ্দুন মজলিসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আনোয়ারা খাতুন। তিনি প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং বায়ান্নর ভাষা সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য ছিলেন। প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য গাইবান্ধার বেগম দৌলতুন্নেছাও ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
এছাড়া নাদেরা বেগম, লিলি হক, হামিদা খাতুন, নুরজাহান মুরশিদ, আফসারী খানম, রানু মুখার্জী প্রমুখ নারীদের অবদান স্মরণ করার মতো। চট্টগ্রামে বেশকিছু কলেজছাত্রী ও মহিলারাও সে সময় ভাষা আন্দোলনের যুক্ত ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম তোহফাতুন্নেছা আজিম, সৈয়দা হালিমা, সুলতানা বেগম, নুরুন্নাহার জহুর, আইনুন নাহার, আনোয়ারা মাহফুজ, তালেয়া রহমান, প্রতিভা মুৎসুদ্দি। সাতক্ষীরায় সক্রিয়ভাবে এ আন্দোলনে ভূমিকা রাখনে গুলআরা বেগম ও সুলতানা চৌধুরী। টাঙ্গাইলে ভাষা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন নুরুন্নাহার বেলী, রওশন আরা শরীফ প্রমুখ।
রংপুরে নারীরা রাষ্ট্রভাষার দাবির মিছিলে গুলবির্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ মিছিলে অংশ নেন নিলুফা আহমেদ, বেগম মালেকা আশরাফ, আফতাবুন্নেছা প্রমুখ। ভাষা আন্দোলনে রাজশাহীতে যারা গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ড. জাহানারা বেগম বানু, মনোয়ারা বেগম বানু, ডা. মহসিনা বেগম, ফিরোজা বেগম ফুনু, হাফিজা বেগম টুকু, হাসিনা বেগম ডলি, রওশন আরা, খুরশিদা বানু খুকু, আখতার বানু প্রমুখ।
- Metro-rail brings ease in capital`s nightmare transport system
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বিদেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ওপর : বাংলাদেশ ব্যাংক
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৫ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৬৪
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলবে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ
- করোনা চিকিৎসায় ২০০০ চিকিৎসক, ৫০৫৪ জন নার্স নিয়োগ
- প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদযাপন হবে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
- চাষিদের লোকসান ঠেকাতে ক্ষেত থেকে সবজি কিনছে সেনাবাহিনী
- করোনার সময়ে জরুরি সাহায্য পেতে ফোন করুন