ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বাংলাদেশের প্রথম স্যাংশন পাওয়া ব্যক্তি তারেক জিয়া

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫০, ৩০ মে ২০২৩  

তারেক জিয়া

তারেক জিয়া

সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতা এবং দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের প্রথম স্যাংশন পাওয়া ব্যক্তি তারেক রহমান। যাকে ভয়ঙ্কর অপরাধী বলে আখ্যায়িত করেছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ।

২০১১ সালের ৩০ আগস্ট উইকিলিকসের প্রকাশিত নথি থেকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সাথে যুক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। যে নথিতে পাওয়া গেছে তারেক রহমানের আরো অপকর্মের প্রমাণ।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে এক গোপন তারবার্তায় তারেক রহমান সম্পর্কে লেখেন। যা পরে সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী উইকিলিকসের ফাঁস করা নথিতে পাওয়া যায়।

মরিয়ার্টি তারেক রহমান সম্পর্কে লিখেন- ‘তারেক রহমান বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির জন্য দায়ী যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে…। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান অত্যন্ত দুর্ধর্ষ ও ভয়ঙ্কর এবং একটি দুর্নীতিপরায়ণ সরকার ও বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতীক।’

তিনি আরো লিখেন, তারেক রহমানের প্রকাশ্য দুর্নীতি মার্কিন সরকারের তিনটি লক্ষ্যকে যথা- গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন এবং জঙ্গিবাদ নির্মুল করার মিশনকে প্রচণ্ডভাবে হুমকির সম্মুখীন করেছে। আইনের প্রতি তার প্রকাশ্য অশ্রদ্ধা বাংলাদেশে জঙ্গিদের মূল শক্ত করতে সহায়তা করেছে।

আর এই তারেক রহমানকে আগামীতে বাংলাদেশের ভবিষ্যত নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা-তদবিরও করে যাচ্ছে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। কিন্তু উইকিলিকসের নথির তথ্যমতে ঢাকাস্থ মার্কিন কূটনীতিকরা বিএনপির পারিবারিক রাজনীতির ভবিষ্যৎ উত্তরসূরিকে `জঙ্গি মদদদাতা`সহ নানান বিপদজ্জনক অভিধায় চিহ্নিত করে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে লিখেছেন, তারেক যাতে সেদেশে ঢুকতে না পারেন! যা এখনও বলবৎ রয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামল (২০০১ থেকে ২০০৬) ছিল সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। দেশে ব্যাপকভাবে দুর্নীতির কারণে টান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স (সিপিআই) এ বাংলাদেশ পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বের মধ্যে প্রথম হয়েছিল। পরবর্তীতে দুর্নীতিকে বিএনপির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া এবং সার্বিক সমর্থন দেওয়ার খবর প্রকাশিত হতে থাকলে খালেদা জিয়া, তার দুই ছেলে ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। তখনই চিকিৎসার কথা বলে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালায় বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এখন বিদেশে বসে একের পর এক দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে এই দুর্নীতিবাজ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়