ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের আসল পরিচয়

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৫৮, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ক্রমবর্ধমান উন্নয়নে সারা বিশ্বে যখন বাংলাদেশ একটি আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে তখনই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করেছে একটি চিহ্নিত চক্র। এই চক্রের সাথে দেশের ভেতরের এবং রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধের দায়ে বিদেশ পলাতক কিছু ব্যক্তি জড়িত। বিভিন্ন সময় অনলাইনে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে এই ষড়যন্ত্রকারীরা। এদের মধ্যে রয়েছেন হাঙ্গেরিতে পলাতক প্রমাণিত অপরাধী সায়ের জুলকারনাইন, স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে সক্রিয় সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান, বাংলাদেশের তথ্য বিদেশে পাচারকারী তথাকথিত সাংবাদিক তাসনিম খলিল, বঙ্গবন্ধুর অবমাননাকারী এবং স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী মিনহাজ মান্নান ইমন। তাদের সাথে লেখক মুশতাক আহমেদও যুক্ত ছিলেন।

জানা গেছে, যে দেশকে একসময় তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হত, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে সেই বাংলাদেশই এখন বিশ্বের অনেক দেশের কাছে রোল মডেল। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান গতিশীল উন্নয়নে হতবাক হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। টাকার বিনিময়ে এই শক্তির হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন সায়ের জুলকারনাইন, ডেভিড বার্গম্যান, তাসনিম খলিল, মিনহাজ মান্নান ইমন।

বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় এই শক্তি দেশবিরোধী অপপ্রচার চালায়। কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে আল জাজিরার সাথে মিলিত হয়ে সরকারকে বিপদে ফেলতে চাইলেও তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এরপর আবার মুশতাক আহমেদের স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে এরা মিথ্যাচার শুরু করেছে। মিথ্যা প্রচার চালিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলতে হবে– এমন শর্তেই এরা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন এসব অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে সরকার পতনের মাধ্যমে যাতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসতে পারে সেই লক্ষ্যেই এরা কাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সায়ের জুলকারনাইন একজন প্রমাণিত অপরাধী। অর্থলোভী সায়ের হাঙ্গেরিতে আত্মগোপন করে ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতম হলেন, স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে সক্রিয় সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান। তিনি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতেও তৎপর ছিলেন। দেশের তথ্য বিদেশে পাচারকারী সাংবাদিক তাসনিম খলিল এই চক্রের অন্যতম সদস্য। ব্যক্তিগত আক্রশে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন তাসনিম খলিল।
আরেক ষড়যন্ত্রকারীর নাম মিনহাজ মান্নান ইমন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেতনা বিরোধী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অবমাননাকারী। দেশের বর্তমান উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত। লেখক মুশতাক আহমেদ এই ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন।

বিশ্লেষকরা জানান, ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারে এরা এগেও দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র গুজব, ষড়যন্ত্র চালিয়েছে। এরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিভিন্ন ইস্যুকে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতি থামানোই তাদের মূল লক্ষ্য। এই ষড়যন্ত্রকারীদের থেকে জনগণকে সাবধানে থাকার কোন বিকল্প নেই বলেও জানান রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়