ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ভারত ও বাংলাদেশ পাইপ লাইন প্রকল্পের উদ্বোধন আগামীকাল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:১২, ১৭ মার্চ ২০২৩  

ভারত ও বাংলাদেশ পাইপ লাইন প্রকল্পের উদ্বোধন আগামীকাল

ভারত ও বাংলাদেশ পাইপ লাইন প্রকল্পের উদ্বোধন আগামীকাল

আগামী ১৮ মার্চ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইন প্রকল্প। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এই পাইপলাইনে শিলিগুড়ি নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড এনআরএল বিপণন টার্মিনাল থেকে বিপিসির পার্বতীপুর ডিপোতে আসবে জ্বালানি।

বছরে আমদানি করা যাবে ১০ লাখ টনের বেশি ডিজেল। রংপুর বিভাগের ৮ জেলাসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় জ্বালানির চাহিদা মিটবে সহজে। আমদানিতে খরচ কমবে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। 

বর্তমানে পাইপ লাইনে চূড়ান্ত কমিশনিংয়রে কাজ চলছে। পাইপ লাইনে পানি সঞ্চালন করা হচ্ছে বিভিন্ন ইকুইপমেন্টের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য। এরআগে শিলিগুড়ি থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এসবি স্টেশনে লিকেজ ডিটেকশনের কাজ চলেছে। যাতে করে জ্বালানি সঞ্চালনে কোন সমস্যা না হয়। নির্দিষ্ট প্রেসারে এই লিকেজ টেস্ট করা হচ্ছে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘন্টা চলবে উদ্বোধনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। 

১৩১.৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনটি রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় হয়ে বাংলাদেশে আসা দেশের প্রথম আন্তঃদেশিয় পাইপলাইন। যার ভারত অংশে রয়েছে ৫ কিলোমিটার আর বাকিটা বাংলাদেশে। এর মাধ্যমে শিলিগুড়ি নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড, এনআরএল বিপণন টার্মিনাল থেকে বিপিসির পার্বতীপুর ডিপোতে আসবে জ্বালানি তেল।

বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় নির্মিত এ পাইপলাইনটি শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ডিপোকে সংযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ওই রিফাইনারি থেকে রেলপথে তেল আসছে। খরচ সাশ্রয়ে পরে পাইপলাইনে তেল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরইমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে ৩০ হাজার টন ধারন ক্ষমতার ৬টি ডিজেল ট্যাংক। দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বিপিসির ডিপো থেকে উত্তরের ১৬টি জেলার জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ করা হয়। বছরে এই ১৬ জেলায় ডিজেলের চাহিদা প্রায় ১০ লাখ টন। এতদিন চট্টগ্রাম থেকে ওয়াগন ও সড়ক পথে তেল সরবরাহ করা হত। ফলে সময় ও খরচ দুইই বেশি লাগতো। 

পেট্রল পাম্প মালিকরা বলছেন, পাইপলাইনে তেল সরবরাহ শুরু হলে খরচ যেমন কমবে একই সাথে কমবে দুর্ভোগও এবং জ্বালানিও আনা যাবে অনেক বেশি। প্রাথমিকভাবে বছরে দুই থেকে তিন লাখ টন ডিজেল আনার পরিকল্পনা করছে বিপিসি। এরপর খরচ ও চাহিদা বুঝে আমদানি বাড়ানো হবে। তবে একটা সময় বছরে ১০ লাখ টনের বেশি ডিজেল আমদানি করা যাবে এ পাইপলাইন দিয়ে। চুক্তি অনুসারে সরবরাহ শুরুর পর ১৫ বছর পর্যন্ত এ পাইপলাইন দিয়ে ভারত থেকে ডিজেল নেবে বিপিসি।

ভারত সরকারের বিনিয়োগে ২০১৯ সালের জুলাই এ শুরু হয় ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের নির্মান কাজ। শেষ হবার কথা ছিল ২০২১ সালের জুনে। তবে করোনা মহামারির কারণে কাজ পিছিয়ে যায়। সময় বাড়ানো হয় ২৩ সালের জুন পর্যন্ত।  পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজ শুরু হয় জোরেশোরে। বলা যায় এখন প্রস্তুত তেল ডিপোটি। ১৮ মার্চ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করর্পোরেশনের চেয়ারম্যান জানান, ভারত-বাংলাদেশ ফ্র্রেন্ডশিপ পাইপ লাইন প্রকল্পের চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। উদ্ধোধনসহ বাকি যে কাজগুলো রয়েছে তা আমরা সম্পন্ন করেছি। এখন আমরা শুধু উদ্ধোধনের অপেক্ষায় আছি। 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়