ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ভার্চুয়ালি শুনানির মাধ্যমে দু’দফায় এক লাখের বেশি বন্দিকে জামিন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:০১, ৭ মে ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতিতে সরাসরি আদালতে উপস্থিতি ছাড়াই বন্দিদের কারাগারে রেখে ভার্চুয়ালি শুনানির মাধ্যমে নিম্ন আদালত থেকে দু’দফায় এক লাখের বেশি বন্দিকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

এরমধ্যে ২০২০ সালের ১১ মে থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৭২ হাজার ২২৯ জন এবং চলতি বছরের ১২ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত ২৭ হাজার ৮৪৪ জনকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে। দু’দফায় সর্বমোট ৭৪ কার্যদিবসে এক লাখ ৭৩ জন হাজতিকে জামিন দেয়ার পর তারা কারাগার থেকে মুক্তি পান। 

বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের মাধ্যমে এ তথ্য মিলেছে।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, করোনা প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতিতে গতবছর ২৪ মার্চ এক আদেশে দেশের সব আদালতে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে এ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সরকার সাধারণ ছুটি কয়েক দফা বাড়িয়ে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনও সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আদালতের ছুটির মেয়াদ বাড়ায়। এ অবস্থায় ওই বছরের ১১ মে থেকে আদালতে সরাসরি উপস্থিতি ছাড়াই হাজতি বন্দিদের কারাগারে রেখেই ভার্চুয়ালি শুনানির মাধ্যমে নিম্ন আদালত থেকে জামিন দেয়া শুরু হয়, যা চলে ওই বছরের ৪ আগস্ট পর্যন্ত। ওই সময়ে সারাদেশে নিম্ন আদালতে (শিশু আদালতসহ) ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৯টি ফৌজদারি মামলায় জামিন আবেদনে নিষ্পত্তি করে ৭২ হাজার ২২৯ জনকে জামিন দেয়া হয়। পরবর্তীতে নিম্ন আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু হয়।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে আদালতে স্বাভাবিক বিচার কাজ বন্ধ রয়েছে। এ সময়ে জরুরি বিষয় শুনানির জন্য কিছু কিছু আদালত খোলা রাখা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গত ১২ এপ্রিল থেকে আসামিদের কারাগারে রেখেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি জামিন শুনানি চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ মে পর্যন্ত ১৬ কার্যদিবসে ৫১ হাজার ৮৮২টি মামলায় জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করে ২৭ হাজার ৮৪৪ জনকে জামিন দেয়া হয়েছে। পরে সবাই কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়