ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মিঠামইনের হাওরের কৃষকদের মনে উৎসবের ঢেউ লেগেছে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৩, ২১ এপ্রিল ২০২১  

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

বৈশাখ মাস দুয়ারে কড়া নাড়ছে। চারদিকে উৎসবের আমেজ । সেই উৎসবের ঢেউ লেগেছে মিঠামইনের হাওরের কৃষকদের মনে। হাওরে হাওয়ায় একন  সোনালী ধানের সুভাস। যেন ধানের আলোয় ভাসছে হাওর। শুরু হয়েছে নতুন ধান কাটার উৎসব। 

বৈশাখ এলেই মিঠামইন উপজেলার হাওর অঞ্চলের চির চেনা এই রূপ চোখে পড়ে। কাট ফাটা রোদ ও রমজান মাথায় নিয়ে ক্ষেতে ধান কাটছেন কৃষকেরা। সেই ধান মাথায় কিংবা  কাধে বয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। 

চলছে মাড়াই, কৃষাণীরা মনের আনন্দে মাড়াই করা ধান বাতাসে উড়াচ্ছেন। এরপর বাড়ির আঙ্গিনায়  খলাতেই ধান শুকাচ্ছেন। বিকালে শান্ত রোদে শুকনো ধান মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরছেন কৃষাণীরা । ধান গোলায় ভরে তবেই স্বস্তি। 

হাওরে ধান কাটার উৎসবে শুধু কৃষাণ কৃষাণী নয়  বাড়ির  সব  বয়স ই মানুষ ই যোগ দেন। হাওরে এ এক অন্য রকম উৎসব চলে বৈশাখ জোড়ে। ফসল গোলায় তোলার এই উৎসবের কাছে কাট ফাটা রোদ,বৈশাখের ঝড় বৃষ্টি সবই যেন তুচ্ছ। 

ধানের সবুজ শিষের রং যখন সোনালী হতে শুরু করে তখন কৃষকের মনের রং ও বদলায়। চোখ মুখে খুশিতে ধান কাটার প্রস্ততি শুরু করেন। বাড়ির আঙ্গিনায় অথবা হাওরে কোন জায়গায় তৈরি করা হয় ধানের খলা(ধান কেটে মাড়াই করার স্থান)। 

খলা তৈরিতে মূল ভূমিকা রাখেন কৃষাণীরা। নতুন ধানের  সঙ্গে মনের আনন্দে একটি মাস এই খলাতেই রোদ বুষ্টি উপেক্ষা করে দিনের বেশির ভাগ সময় কাটান বাড়ির গৃহিণীরা। এরপর শুরু হয় খলায় ধান সিদ্ধ করা। সিদ্ধ ধান রোদে শুকিয়ে গোলায় আসা। 

এসকল কাজ বেশির ভাগ কৃষাণীরাই করে থাকেন। মিঠামইনে এ বছর ধানের  বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা আনন্দে ধান কাটছে। 

করোনাকে উপেক্ষা করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কৃষকরা হাওরে নিজ নিজ জমির ধান কেটে গোলায় নিয়ে আসছেন। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে মিঠামইনে হাওরে কোন ধান কাটার জমি পাওয়া যাবে না বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়