মৈত্রী পাইপলাইন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে
নিউজ ডেস্ক
মৈত্রী পাইপলাইন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত মেত্রী পাইপলাইন দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সহযোগিতা উন্নয়নের একটি মাইলফলক অর্জন। আশা করি এ পাইপলাইন বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।
গতকাল শনিবার বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে- সেই মর্যাদাকে আমরা কার্যকর করতে চাই। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে আরো উন্নত করতে চাই। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশের উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হোক। আমাদের মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর, সিলেট ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে উন্নত করেছি। এগুলো ভারতের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিচ্ছি। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য আরো সহজ হবে। লাভবান হবে দুই দেশের মানুষ।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। ভারতের বিনিয়োগকারীরা সেখানে আরো বিনিয়োগ করুন। এতে দুই দেশই লাভবান হবে। আগামীতে মৈত্রী পাইপলাইনের মতো আরো সফলতা বাংলাদেশ ও ভারত মিলে উদযাপন করবো। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একই সঙ্গে কাজ করবো।
সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন চালুর ফলে বাংলাদেশের জনগণ নানাভাবে উপকৃত হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে যখন বিশ্বের অনেক দেশ জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি তখন এই পাইপলাইন আমাদের জনগণের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানিতে ব্যয় ও সময় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
তিনি বলেন, দুই দেশের মানুষের পারস্পরিক কল্যাণে জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারত থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছি। আর দেশের বিদ্যুৎ খাতে উপ-আঞ্চলিক পর্যায়সহ দ্বিপাক্ষিক আরো কয়েকটি উদ্যোগ বাস্তবায়নাধীন। এসব সহযোগিতার ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আরো গভীর হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই পাইপলাইন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।
- Metro-rail brings ease in capital`s nightmare transport system
- বিদেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ওপর : বাংলাদেশ ব্যাংক
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৫ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৬৪
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলবে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ
- করোনা চিকিৎসায় ২০০০ চিকিৎসক, ৫০৫৪ জন নার্স নিয়োগ
- প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদযাপন হবে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
- চাষিদের লোকসান ঠেকাতে ক্ষেত থেকে সবজি কিনছে সেনাবাহিনী
- করোনার সময়ে জরুরি সাহায্য পেতে ফোন করুন