ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মোবাইল থেকেই দেওয়া যাবে রিকশা ভাড়া!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:২২, ৮ জানুয়ারি ২০২২  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

রিকশা থেকে নেমেই আর খুঁজতে হবে না মানিব্যাগের টাকা। হাতে থাকা ফোন থেকেই দেওয়া যাবে রিকশা ভাড়া। ভাংতির জন্য চিন্তা করতে হবে না রিকশা চালককেও। ক্ষুদ্র লেনদেনে নতুন এ দিগন্তের সূচনা করেছে, ট্রাস্ট আজিয়াটা পে-ট্যাপ। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় নতুন এ সেবা চালু করেছে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি।

রিকশার নগরী ঢাকা। রাজধানীর অলি-গলি রাজপথে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রায় ১৫ লাখ রিকশা চলাচল করে। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ২০১৫ সালের তথ্যমতে, ঢাকার ৪০ শতাংশ মানুষ নিয়মিত চলাচলের ক্ষেত্রে রিকশার ওপর নির্ভরশীল।

এ বিষয়টি মাথায় রেখে যাত্রীরা যাতে রিকশা ভাড়া মোবাইলে পরিশোধ করতে পারেন তার উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাস্ট আজিয়াটা পে-ট্যাপ। শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানী ধানমন্ডি এলাকায় নতুন উদ্যোগের অংশ হিসেবে তিন শতাধিক রিকশাচালককে একটি করে কিউআর কোড সংবলিত কার্ড দেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা ট্যাপ অ্যাপ দিয়ে স্ক্যান করে রিকশাচালকের ট্যাপ ওয়ালেটে ভাড়া দিতে পারবেন। খুদে বার্তার মাধ্যমে জানা যাবে লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে কিনা।

এ বিষয়ে ট্যাপের হেড অব কপোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড মিডিয়া রিলেশনস আশিকুর রহমান বলেন, এ নতুন সার্ভিস চালু করায় রিকশাচালকরা প্রতিটি যাত্রীর ভাড়ার সঙ্গে ট্যাপ থেকে অতিরিক্ত ১০ টাকা বোনাস পাবেন। যে কোনো ট্যাপ এজেন্ট থেকে সেটা ক্যাশ আউট করে নিতে পারবেন। এ ছাড়া যাত্রীরাও ট্যাপ-এ পেমেন্ট করে পাবেন ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক। এ অফারটি ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

মোবাইলে জমা অর্থ রিকশা চালকরা গ্যারেজে থাকা ট্যাপ এজেন্টের কাছ থেকে সহজেই তুলতে পারবেন। এ বিষয়ে একজন রিকশাচালক জানিয়েছেন, এখন সুবিধা হলো, টাকা পয়সার হারানোর ভয় থাকবে না। সারাদিন কাজ করে বিকেলে গিয়ে এজেন্টের কাছ থেকে টাকা তুলতে পারব। নাগরিক জীবনের সব স্তরে এমএফএস সেবা ছড়িয়ে দিতেই এ উদ্যোগ বলে জানালেন কর্মকর্তারা।

এদিকে ট্রাস্ট আজিয়াটা ডিজিটাল লিমিটেডের পরিচালক হুমায়রা আজম বলেছেন, তৃণমূল পর্যায়ে ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ট্যাপ এ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশাবাদী। তৃণমূল পর্যায়ে এ সেবা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করছি।

পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষে শিগগিরই এ সেবা তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায় ট্রাস্ট আজিয়াটা পে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়