ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

যথা নিয়মে চিকিৎসাবর্জ্য ধ্বংস করতে হবে : মেয়র তাপস

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৭, ১ ডিসেম্বর ২০২২  

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন,হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ চিকিৎসা সংক্রান্ত সব প্রতিষ্ঠানে সৃষ্ট সাধারণ বর্জ্য থেকে চিকিৎসাবর্জ্যকে আলাদা করে সিটি কর্পোরেশন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।

গতকাল বুধবার (৩০ নভেম্বর) খিলগাঁও তালতলা কবরস্থান ও মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, চিকিৎসাবর্জ্য ধ্বংসে আমাদের প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে এখন পর্যন্ত হাসপাতালগুলো যথা নিয়মে সাধারণ বর্জ্য হতে এগুলোকে পৃথকীকরণ করছে না। হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে এসব বর্জ্যকে আলাদা করতে হবে। তারা সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে চিকিৎসা বর্জ্য মিলিয়ে এগুলোকে ফেলে দিচ্ছে। যেসব প্রতিষ্ঠানকে চিকিৎসাবর্জ্য সংগ্রহের জন্য আমরা নিবন্ধন দেব, তাদের কাছে বর্জ্যগুলো হস্তান্তর করতে হবে। তারা সরাসরি আমাদের মাতুয়াইল ভাগাড়ে ইনসিনারেশন প্লান্টে নিয়ে আসলে আমরা পরিপূর্ণভাবেই চিকিৎসা বর্জ্য থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত করতে পারব।

চিকিৎসাবর্জ্য সংগ্রহে অঞ্চলভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, চিকিৎসাবর্জ্য সংগ্রহ ও ধ্বংস করার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে একটি ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। ২০০৬ সালে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ নিয়ে একটি চুক্তি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই চুক্তির মেয়াদও বৃদ্ধি করা হয়নি। আমরা কিন্তু আমাদের কেন্দ্রীয় মাতুয়াইল ভাগাড়ে জায়গা দিয়েছি। সেখানে একটি ইনসিনারেশন ও অটোক্লেভ করা হয়েছে। যাতে করে চিকিৎসাবর্জ্যগুলো আলাদা আলাদাভাবে নেওয়া যায় এবং ধ্বংস করা অত্যাবশ্যক সেগুলোকে ধ্বংস করা যায়।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালাও করা হয়। সেই নীতিমালা অবলম্বন করে আমরা এখন প্রত্যেকটি অঞ্চলে আলাদা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করছি। নীতিমালার আলোকে প্রতিষ্ঠানগুলোর সব কিছু পরিপালন করে সুষ্ঠুভাবে এগুলো সংরক্ষণ করবে এবং আমাদের মাতুইল ভাগাড়ে নিয়ে সেগুলো ধ্বংস করবে।

পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে ঢাকাবাসীর কল্যাণে সব উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আজকে আমরা এখানে একটি কবরস্থান ও মসজিদের উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করলাম। এই কবরস্থানের জমি দীর্ঘদিন ধরে দখল অবস্থায় ছিল। জমি নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা ছিল। আমরা পুরোটা দখলমুক্ত করেছি। পরিপূর্ণ জায়গা নিয়ে আমরা একটি সুন্দর কবরস্থান করছি। এখানে ৩৪শ কবর দেওয়া যাবে। সুতরাং ঢাকাবাসীর কবরের জন্য যে চাহিদা রয়েছে, অত্র এলাকায় সেই চাহিদা মেটাতে পারব বলে আমরা মনে করি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আইন অনুযায়ী যেসব প্রতিষ্ঠান চিকিৎসাবর্জ্য উৎপাদন করে তাদেরকে উৎসেই তা আলাদা করার বিধান আছে। পরিবেশ আইনে এ বিধানটি সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। উৎসে যদি এটা পৃথক না করা হয় তাহলে সিটি কর্পোরেশনের খুব বেশি কিছু করার নেই। আমাদের এলাকার মুগদা হাসপাতাল একটা প্রটোকল চালু করেছি। তারা এটা কিভাবে ডিসপোজাল করবে সেজন্য সেখানে একটা কমিটিও আছে। ঢাকা শহর ছাড়াও বাংলাদেশের আরও বিভাগে চিকিৎসালয় আছে। সেখানেও নানা ধরনের চিকিৎসা বর্জ্য উৎপন্ন হয়। সুতরাং বিষয়টির জন্য আমাদের সবার সচেতন হতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহী, মিরাজ হোসেন, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক। 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়