যুক্তরাষ্ট্র গোপনে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তাইওয়ানের সেনাদের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাইওয়ানের সেনাদের গোপনে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সামরিক বাহিনীর স্পেশাল অপারেশনস ফোর্সেস এবং মেরিন সেনারা অত্যন্ত গোপনে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজটি করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের বারবার হুমকি-ধমকি ও সতর্কতা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র তাইওয়ানের সেনাদের গোপনে প্রশিক্ষণ দিয়ে এসেছে।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড মনে করে। তাই জোরপূর্বক অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় তারা।
সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাইওয়ানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে আসছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের উত্তেজনার এটিও একটি কারণ।
নাম প্রকাশ না করা একাধিক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে তাইওয়ানের সেনাদের গোপনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষণ দেওয়ার খবরটি প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে প্রতিবেদনটির সত্যতা নিশ্চিত বা নাকচ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন সাপল এক বিবৃতিতে বলেন, চীনের হুমকির প্রেক্ষাপটে তাইওয়ানের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
গত নভেম্বরে তাইওয়ানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ানের মেরিন ও বিশেষ বাহিনীর সেনাদের প্রশিক্ষণ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা সেখানে পৌঁছেছেন। তাইওয়ানের নৌ-কমান্ডারের বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেই খবরের সত্যতার প্রতিফলন ঘটল ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে।
তবে সে সময় তাইওয়ানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সত্যতা নাকচ করেছিল তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্র। তখন উভয় পক্ষ বলেছিল, কোনো প্রশিক্ষণ নয়, তারা দ্বিপক্ষীয় সামরিক বিনিময় ও সহযোগিতায় যুক্ত।
সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের ব্যাপারে আগ্রাসী তৎপরতা জোরদার করেছে চীন। তারা তাইওয়ানের সমুদ্র ও আকাশসীমার কাছে দফায় দফায় সামরিক মহড়া চালাচ্ছে।
গত কয়েক দিনে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমানায় প্রায় ১৫০টি যুদ্ধবিমান পাঠায় চীন। এ নিয়ে তাইওয়ান ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
অঞ্চলটিতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চীন এমন উসকানিমূলক কার্যকলাপ করছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানকে নিশানা করে চীনের সামরিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, রাজনৈতিক চাপ ও জবরদস্তি বন্ধ করতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
- সোনিয়া গান্ধীর হাতেই থাকছে কংগ্রেসের নেতৃত্ব
- বাংলাদেশের সঙ্গে আরো জোরালো সম্পর্ক গড়ার উদ্যোগ ভারতের
- ভিয়েতনাম যুদ্ধের চেয়েও করোনায় বেশি প্রাণহানি যুক্তরাষ্ট্রে
- ‘বৈশ্বিক সম্পর্কের দিকে’ এগোচ্ছে চীন!
- করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের
- সিরিয়ায় বোমা বিস্ফোরণে শিশুসহ নিহত ৪০
- গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাখ ২৫ হাজার আক্রান্ত
- মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৬৭ হাজার ছুঁইছুঁই
- ট্রাম্প জাতিসংঘে ‘রাজনৈতিক ভাইরাস’ ছড়াচ্ছে: চীন
- নাভালনিকে নিরাশ করেনি ভোটাররা