ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশের তকমা দখলে নিল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:০২, ১৭ নভেম্বর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে এখন বিশ্বের এক নম্বর ধনী দেশ চীন। গত দুই দশকে বিশ্বের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে তিনগুন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশের তকমা নিজেদের দখলে নিয়েছে চীন। ম্যানেজমেন্ট কানসালটিং ফার্ম ম্যাককিনেসি অ্যান্ড কোম্পানির গবেষণা শাখার প্রতিবেদনটি ম্যাককিনেসি অ্যান্ড কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। বৈশ্বিক আয়ের ৬০ শতাংশেরও বেশির প্রতিনিধিত্বকারী ১০ দেশের জাতীয় সম্পদ বিশ্লেষণের পর ধনী দেশের এই তালিকা তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। 

জানা গেছে, বিশ্বে মোট আয়ের শতকরা ৬০ ভাগেরও বেশি প্রতিনিধিত্ব করে এমন দশটি দেশের জাতীয় ব্যালেন্স শিট পরীক্ষা করে দেখেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। জার্মানির জুরিখ থেকে ম্যাকিনসে গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের অংশীদার জ্যান মিশ্চকে বলেছেন, ২০০০ সালে বিশ্বের নিট সম্পদের পরিমাণ ১৫৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থাকলেও গত বছর তা বেড়ে ৫১৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ফলে আগের চেয়ে এখন আমরা অনেক বেশি সম্পদশালী। বৈশ্বিক সম্পদ বৃদ্ধির এই হিসেবের এক-তৃতীয়াংশই হয়েছে চীনের।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদের নীরব মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে তারা পিছিয়ে পড়েছে। তাদের নিট সম্পদ এ সময়ে দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ ট্রিলিয়ন ডলার।

ম্যাককিনসি অ্যান্ড কোম্পানি বলেছে, চীনের সম্পদ ২০০০ সালে মাত্র ৭ ট্রিলিয়ন ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে তা বেড়ে ১২০ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) যোগদানের এক বছর আগে চীনের অর্থনৈতিক উত্থানের গতি ব্যাপক বৃদ্ধি পায়।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুটি অর্থনীতির দেশ। এ দুটি দেশেই সম্পদের কমপক্ষে দুই তৃতীয়াংশ আটকে আছে শতকরা মাত্র ১০ ভাগ ধনী মানুষের হাতে। এছাড়াও তাদের শেয়ার বৃদ্ধি পাচ্ছে তো পাচ্ছেই। ম্যাকিনসের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের মোট সম্পদের শতকরা ৬৮ ভাগই ব্যয় করা হয়েছে রিয়েল এস্টেট খাতে। এসব ব্যয় হয়েছে অবকাঠামো, মেশিনারিজ এবং বিভিন্ন সরঞ্জামে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়