ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:২০, ১৯ জানুয়ারি ২০২১  

ছবি : সংগ্রহীত

ছবি : সংগ্রহীত

অনেক নাটকীয়তার পর যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বুধবার (২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন জো বাইডেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রথম’ নীতির বিরোধিতাকারী বাইডেন এরইমধ্যে তার পররাষ্ট্রনীতি কেমন হবে, সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তন, বহুপক্ষীয় বিশ্ব ব্যবস্থাসহ বেশকিছু ক্ষেত্রে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনবেন বাইডেন। এর প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বে, দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশও এর বাইরে থাকবে না। যদিও দেশের কূটনৈতিক মহল মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের সঙ্গে আরও বেশি ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের সঙ্গে বাইডেন সরকারের রাজনৈতিক সম্পর্কে কোনও ধরনের পরিবর্তন আসবে কিনা জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মাদ শহীদুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মনে হয় না। বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ আছে। তবে বাংলাদেশ তাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে নেই। ওয়াশিংটনের আরও আগ্রহের জায়গা আছে।’

বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির তিনটি মূল ভিত্তি হচ্ছে— মানবাধিকার, আইনের শাসন ও সুশাসন। এই বিষয়গুলো নিয়ে নতুন মার্কিন প্রশাসন অনেক বেশি কথা বলবে বলে জানান শহীদুল হক।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই তিনটি ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও বেশি ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ।  শুধু তাই না, এর ফলে রোহিঙ্গারাও উপকৃত হবে।’

‘মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ, যা জাতিসংঘের বিভিন্ন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।’ এ বিষয়ে বাইডেন এবং তার দল আরও দৃঢ় অবস্থান নেবে জানিয়ে অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক বলেন, ‘এর ফলে রোহিঙ্গাদের জন্য আরও কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।’

বাংলাদেশে উন্নয়ন ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্ব পেতে পারে জানিয়ে শহীদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথাগত ও অপ্রথাগত নিরাপত্তা, উভয় ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিয়ে আসছে। নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থানগত পরিবর্তনের ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করতে পারে।’

নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম. সাখাওয়াত হোসেন বাংলা টিবিউনকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বলয় ভবিষ্যতে কী ধরনের চেহারা নেবে, সেটি চট করে বলা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি যুক্তরাষ্ট্রকে সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে গেছে বলে মনে হয় না। বরং এর ফলে চীনের অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে।’

চীনের সঙ্গে বৈরি সম্পর্কের প্রভাব মিয়ানমারের ওপরে পড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র খুব বেশি অগ্রসর হবে বলে মনে হয় না।’

তিনি আরও  বলেন, ‘চীনকে ঘায়েল করার জন্য যদি তিব্বত নিয়ে  যুক্তরাষ্ট্র কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করে, তবে এর প্রভাব পড়বে দক্ষিণ এশিয়ায়।’

সর্বশেষ
জনপ্রিয়