ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

যুবলীগ চেয়ারম্যানের নামে অর্থ আদায়ে প্রতারক ফিরোজসহ দুজনের তিন দিন করে রিমান্ড

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:১৮, ২০ অক্টোবর ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের ফোন নম্বর স্পুফ করে তার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার ফিরোজ খন্দকার ও তার সহযোগী রাকিবুল ইসলামের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আশেকে ইমামের আদালত তাদের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এদিন দুই আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের সাত দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজীমনগর থেকে তাদের গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

মামলার সূত্রে জানা যায়, আসামি ফিরোজ খন্দকার গ্রেফতারের আগে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি ঢাকার খিলখাঁও থেকে কেরানীগঞ্জের মধ্যে বিভিন্ন বুথ থেকে প্রতারণার টাকা তুলেন। সন্দেহ এড়াতে টাকা উত্তোলনের সময় মোটরসাইকেল চড়ে বিভিন্ন বুথ থেকে অল্প অল্প করে টাকা তুলতেন। অভিযোগ পেয়ে খিলখাঁও ও কেরানীগঞ্জের যেসব বুথ থেকে ফিরোজ খন্দকার টাকা তুলেন তার সবগুলোর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তাকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। আসামি ফিরোজ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের ফোন নম্বর স্পুফ করে সংগঠনের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। এ কাজে ফিরোজ খন্দকার প্রথমে ইন্টারনেট থেকে যুবলীগের বিভিন্ন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। তিনি সেসব ফোন নম্বরে ডায়ালার অ্যাপের মাধ্যমে নম্বর স্পুফ করে ফোন করতেন। প্রতারক ফিরোজ খন্দকার এসব ফোন কলে সরাসরি টাকা চাইতেন না। 

বিভিন্ন কর্মসূচির কথা বলে তিনি পরশ পরিচয়ে টাকা দাবি করে বিকাশ-রকেট নম্বর দিয়ে টাকা চাইতেন। সংগঠনের চেয়ারম্যানের ফোন নম্বর পেয়ে নেতারা উৎফুল্ল মনে টাকা পাঠাতেন। আর তিনি সেই টাকা বিভিন্ন বুথ থেকে তুলতেন। তবে এসব ঘটনায় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস বাধ্য হয়ে তার ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দেন। তিনি বুঝতে পারেন তার নম্বরটি ক্লোন করে অর্থ আত্মসাৎ করছে একটি চক্র। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি সতর্কবার্তা পোস্ট করেন শেখ পরশ। পরে ১৫ অক্টোবর যুবলীগ চেয়ারম্যানের হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্যারিস্টার রানা তাজউদ্দিন খান।

জানা যায়, পরশের নাম করে তার ব্যবহৃত রবি নম্বরটি ক্লোন করে গত ৯ অক্টোবর প্রথম ফোন করা হয় গাইবান্ধা যুবলীগের সভাপতি সরদার মো. শাহীন হাসান লোটনের গ্রামীণ ফোনের নম্বরে। সংগঠনের জন্য চাঁদা হিসেবে তাকে একটি রকেট নম্বরে টাকা পাঠাতে বলা হয়। একই দিন নেত্রকোনা যুবলীগের আহ্বায়ক জনি ও সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের চপলকে ফোন করে বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠাতে বলা হয়। গত ১০ অক্টোবর মুশফিকুল ইউনুস জায়গীরদার নামে এক ব্যক্তি এবং পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সনি বিশ্বাসকে ফোন করে বিকাশে টাকা চাওয়া হয়। এছাড়াও গত কয়েকদিনে একই পরিচয়ে দেশের কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে ফোন করে টাকা দাবি করে প্রতারক চক্রটি।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়