ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

লিভার ডিজিজের ৪৯ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকি কমায় কফি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:৪৩, ১৬ জানুয়ারি ২০২২  

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ গরম গরম চা কিংবা কফি পানের অভ্যাস অনেকেরই আছে। তবে বেশিরভাগ মানুষই চা পানে অভ্যস্ত। কারণ কফি পান করা নিয়ে অনেকের অনীহা আছে। কারো কারো ধারনা অতিরিক্ত কফি পান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আসলেই কি তাই? 

সেই তথ্য উড়িয়ে দিয়ে কফি পানে জটিল রোগের নিরাময় ও মৃত্যুঝুঁকি হ্রাসের সুখবর জানিয়েছেন গবেষকরা।

বিএমসি পাবলিক হেলথ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার তথ্যানুযায়ী—দিনে ৩-৪ কাপ পর্যন্ত ক্যাফিনেটেড বা ডিক্যাফিনেটেড কফি পান করা লিভারের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এতে দীর্ঘদিন লিভারের রোগে আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন গবেষকরা।  

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন সোমবার (২২ জুন) ওই জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

গবেষকদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়মিত কফি পানকারীদের দীর্ঘস্থায়ী লিভার রোগ থেকে সেরে ওঠার সম্ভাবনা ২১ শতাংশ বেশি এবং ক্রনিক বা ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনাও ২০ শতাংশ কম। আর দীর্ঘস্থায়ী লিভারের জটিলতায় মৃত্যুঝুঁকিও ৪৯ শতাংশ কম।

যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অনুষদের লেখক ও গবেষক ড. অলিভার কেনেডির মতে, ‘কফি সহজগম্য পানীয়। আমরা গবেষণার তথ্য থেকে যেটা পেয়েছি, তা হলো—এটি দীর্ঘস্থায়ী লিভারের রোগের সম্ভাব্য প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা দিতে পারে।’

এ গবেষণায় যুক্তরাজ্যের গবেষণা সংস্থা ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫৮৫ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে কফি পানের বিষয়টি নিয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করেন। এরপরে প্রায় এক যুগ ধরে তাদের অনুসরণ করা হয়।

যারা ক্যাফিনেটেড বা ডিক্যাফিনেটেড কফি পান করেছিলেন, তাদের গ্রুপে সর্বাধিক উপকার দেখা গেছে। তাৎক্ষণিক কফি পানকারীরাও কিছু সুবিধা দেখেছিলেন। গ্রাউন্ড কফিতে উচ্চমাত্রার কাহেওয়েল এবং ক্যাফেস্টল রয়েছে। কফি বিনে দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস পাওয়া গেছে, যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত।

কফি থেকে স্বাস্থ্যে সুবিধা খুঁজে পাওয়া এটি প্রথম সমীক্ষা নয়। গেল ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে এক বা একাধিক কাপ ব্ল্যাক কফি, ক্যাফিনেটেড কফি পান করা হার্টের দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকি হ্রাস করে।

টাইপ-২ ডায়বেটিস, পার্কিনসন ডিজিজ, প্রোস্টেট ক্যান্সার, আলঝেইমারস, স্কলেরোসিস, মেলানোমা, অন্যান্য ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি এবং করোনারি আর্টারি ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমায় কফি। কেনেডি দ্বারা পূর্বের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কফি পান করলে লিভারের ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ রূপ হেপাটোসেলুলার ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়