শিগগির ‘১৬১২২’ নম্বরে ফোন করে নামজারির আবেদন: ভূমিসচিব
নিউজ ডেস্ক
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান
খতিয়ান (পর্চা) ও জমির ম্যাপের আবেদন এবং ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার সুবিধার মতো শিগগির ‘১৬১২২’ নম্বরে ফোন করে নামজারির আবেদন করা যাবে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ের এফডিসি মিলনায়তনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘ভূমি ব্যবস্থাপনায় জনঅংশগ্রহণ ও সুশাসন’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় ৩১টি দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজামান চৌধুরীর নেতৃত্বে মন্ত্রণালয় আজ তা বাস্তবায়ন করছে।’
ভূমিসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের সুবিধার্থে ১৬১২২ নম্বরে ফোন করে খতিয়ান (পর্চা) ও জমির ম্যাপের আবেদন এবং ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের সুবিধার মতো নামজারির আবেদনের সুযোগও তৈরি করা হচ্ছে। এতে ডিজিটাল ভূমিসেবা গ্রহণে স্মার্টফোন কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। এছাড়া জমির যেসব দলিলাদি এরই মধ্যে সরকারি অফিসে আছে এ পদ্ধতিতে তাও আলাদা করে আর জমা দিতে হবে না। এতে নামজারি করা আরও সহজ হবে।’
‘দুর্নীতির সুযোগ কমাতে মাঠপর্যায়ে ভূমি কর্মকর্তাদের বিবেচনামূলক ক্ষমতা (ডিসক্রিশনারি পাওয়ার) কমিয়ে পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনাকে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতির (এসওপি) আওতায় আনা হচ্ছে। এতে ভূমি সেবাদানকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সুযোগ বহুলাংশে কমে যাবে।’
সচিব বলেন, ‘ভূমি অপরাধ আইনের খসড়া তৈরি প্রায় শেষ এবং মতামতের জন্য শিগগিরই তা উন্মুক্ত করা হবে। এছাড়া ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
সরকারি নীতির কারণে ভূমিসেবা হটলাইন ১৬১২২ এখনই টোল-ফ্রি করা সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে সচিব বলেন, ‘কেন না ভূমির বিষয়টি জরুরি সংকটময় সেবার অন্তর্ভুক্ত নয়।’
‘যেকোনো গৃহীতব্য সিদ্ধান্তের বিষয়ে আইনি কাঠামোর মধ্যে যেকোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার অবাধ স্বাধীনতার ক্ষমতাকে বিবেচনামূলক ক্ষমতা বলা হয়। অর্থাৎ একের অধিক আইনিভাবে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে থেকে যেকোনো একটি, যা সিদ্ধান্ত প্রদানকারীর নিকট সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মনে হয়, সেটা বাছাই করার ক্ষমতাই বিবেচনামূলক ক্ষমতা। অনেক অসাধু কর্মকর্তারা তাদের এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে দুর্নীতি করেন।’
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও বিরোধী দল হিসেবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বিতার্কিকরা অংশ নেন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে ট্রফিসহ অন্যান্য সনদপত্র বিতরণ করেন ভূমিসচিব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
- Metro-rail brings ease in capital`s nightmare transport system
- বিদেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ওপর : বাংলাদেশ ব্যাংক
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৫ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৬৪
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলবে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ
- করোনা চিকিৎসায় ২০০০ চিকিৎসক, ৫০৫৪ জন নার্স নিয়োগ
- প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদযাপন হবে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
- চাষিদের লোকসান ঠেকাতে ক্ষেত থেকে সবজি কিনছে সেনাবাহিনী
- করোনার সময়ে জরুরি সাহায্য পেতে ফোন করুন