ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শেরপুরের ঝিনাইগাতী মুক্ত দিবস আজ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫২, ৪ ডিসেম্বর ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শেরপুরের ঝিনাইগাতী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক-হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতী অঞ্চলকে শক্রমুক্ত করে। দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার টেলিগ্রাম বার্তাটি পৌছায় ঝিনাইগাতী ভিএইচএফ ওয়ারলেস অফিসে। পরদিন স্থানীয় ছাত্রনেতা ফকির আব্দুল মান্নান বার্তাটি পৌছে দেন শেরপুর সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দের হাতে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭১ সনের ২৭ মার্চ সকালে শেরপুর সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে দেশকে শক্রমুক্ত করাসহ পাক হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্যে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়। শুরু হয় প্রতিরোধ সংগ্রাম। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া পাতার ক্যাম্পে বাঙ্গালী যুবকদের প্রশিক্ষন শিবির খোলা হয়। প্রশিক্ষন শেষে ওইসব স্বেচ্ছাসেবক , মুজিব বাহিনী ও ইপিআর সৈনিকদের নিয়ে ঝিনাইগাতীর নকশী ইপিআর ক্যাম্পের সুবেদার আব্দুল হাকিম প্রথমে মধুপুরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

কিন্তু হানাদার বাহিনীর ভারী অস্ত্রের সাথে টিকতে না পেরে ২৬ এপ্রিল ভারতে আশ্রয় নেন। ২৩ আগষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক আক্রমণ চালিয়ে তাওয়াকুচা পাক বাহিনীর ক্যাম্প দখল করে। ৩ আগস্ট নকশী পাকিস্তানী ক্যাম্প আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা। ওই সম্মুখ যুদ্ধে পাক বাহিনীর ৩৫ জন সেনা নিহত হয়। ২৭ নবেম্বর কমান্ডার জাফর ইকবালের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতী বাজারের রাজাকার ক্যাম্প দখল করেন। ওই সময় ৮ রাইফেলসহ ৮ রাজাকারকে ধরে নিয়ে যায়। এভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের উপুর্যুপরি আক্রমণে হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে।

অবশেষে কামালপুর দুর্গ পতনের আগাম সংবাদ পেয়ে ৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক দেড়টায় ঝিনাইগাতীর শালচুড়া ক্যাম্পের পাকিস্তানী বাহিনী পিছু হটে। এরপর আহমদ নগর পাকিস্তানী হেডকোয়ার্টারের সৈনিকদের সঙ্গে নিয়ে রাতেই মোল্লাপাড়া ক্যাম্প গুটিয়ে শেরপুর শহরে আশ্রয় নেয়। আর বিনাযুদ্ধে ঝিনাইগাতী শক্রমুক্ত হয়। ৪ ডিসেম্বর ভোরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্ত ঝিনাইগাতীতে প্রবেশ করে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ায়।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়