ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সংসার ‘জাহান্নাম’ হবে ৪ ধরনের নারীকে বিয়ে করলে

ইসলাম ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:১১, ১৭ এপ্রিল ২০২২  

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

মানবকল্যাণের ধর্ম ইসলাম। ইসলামের উদ্দেশ্যই হলো মানবের জাগতিক ও পারলৌকিক কল্যাণ। মানুষের সব প্রাকৃতিক ও সামাজিক চাহিদা সহজ, সুন্দর, মার্জিত ও পরিশীলিত উপায়ে পূরণ করাই ইসলামি শরিয়তের বিধান। এ জন্য সৃষ্টি হয়েছে বিয়ে নামক বিধানের।

ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম, পবিত্র কুরআন ও হাদিসে এ বিষয়ে রয়েছে বিষদ বর্ণনা। সাধারণত বিয়েকে ইসলাম উৎসাহিত করে তথাপি অবস্থা ও পারিপার্শ্বিকতার উপর ভিত্তি করে এটি কোন কোন ব্যক্তির জন্য ফরজ হয়, কারও জন্য মুস্তাহাব, কারও জন্য শুধুই হালালও হয়ে থাকে। তবে আজকের প্রসঙ্গ হচ্ছে, চার ধরনের মেয়ে নিয়ে, যাদেরকে বিয়ে করলে সংসারে সুখ আসবে না। এক কথায় সুন্দর সংসার জাহান্নামে পরিণত হবে।

হজরত ইমাম গাজালি (রহ.)-এর আবির্ভাব ঘটে পঞ্চম শতাব্দীর মধ্যভাগে, যখন পাশ্চাত্য ও গ্রিক দর্শন বিস্তার লাভ করেছে। তিনি ধর্ম ও দর্শনের মধ্যে পার্থক্য দেখান এবং ধর্মকে দর্শনের ওপর প্রাধান্য দেন।

ইমাম গাজালি (রহ.) বলেন, চার ধরনের মেয়ে বিয়ে করলে সংসার সুখের হবে না। এ চার ধরনের মেয়ে হলো-

১. আহেরা : আহেরা হল তারা, যারা সারাদিন রূপচর্চা করে মানুষকে দেখানোর জন্য। এই ধরনের মেয়ে যারা বিয়ে করবে, তাদের সংসারে সুখ হবে না।

২. নাদিছা : নাদিছা তাদের বলা হয়, যারা রূপের অহংকার করে। এমনকি তাদের পাশে যদি কালো মেয়ে যায়, তারা তাকে তাচ্ছিল্য করে। এত অহংকার ওদের মনে এদের বিয়ে করলে সংসারে সুখ আসবে না।

৩. মুত্তালিহা : মুত্তালিহা বিশ্লেষণ করতে গেলে কিছু পরিচয় দেয়া লাগবে। স্ত্রীদের মধ্যে দুই ধরনের ভাগ আছে। প্রথমত, যারা বলে তুমি আমায় কি দিয়েছো? দ্বিতীয়ত, আমি বলেই তোমার ভাত খাচ্ছি। যারা এ ধরনের খোটা স্বামীকে দেয়, তাদের সংসারও সুখের হয় না।

৪. মুবারিয়া : মুবারিয়া হল তারা যারা স্বামীর অনুপস্থিতিতে বেপর্দায় চলাফেরা করে। এমনকি পরকীয় সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়ে।

শেখ সাদী (রহ.) বলেছেন, একজন দ্বীনহীন মহিলা বা পুরুষের সাথে জীবন-যাপন করার চেয়ে, একজন বিষধর সাপের সাথে থাকা উত্তম। তাতে হয়তো সাপ তোমার ইহকালীন জীবন ধ্বংস করে দিবে, কিন্তু দ্বীনহীন মহিলা বা পুরুষ তো তোমার ইহকালীন এবং পরকালীন উভয় জীবনকেই ধ্বংস করে দেবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়