ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামায়াত সরকার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৩২, ৮ মার্চ ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শুধু ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা মাধ্যমেই নয় বরং ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পরই দেশে মাথা চাড়া দেয় জঙ্গিবাদ। ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আড়ালে অসাম্প্রদায়িক চেতনা মুছে ফেলতে এবং বিরোধী দল ও মত দমনে জঙ্গিবাদে মদদ দেয় বিএনপি-জামায়াত সরকার। এছাড়া পাকিস্তান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে কৌশলে জঙ্গিহামলার ঘটনায় পৃষ্ঠপোষকতা করেন বেগম জিয়া।

জঙ্গিবাদের মদদদান ও বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বেগম জিয়ার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়ে এমনটাই মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তাদের মতে, রাষ্ট্রবিরোধী চক্রের কুপরামর্শে ক্ষমতা দীর্ঘায়ত করতে জঙ্গিবাদকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেন বেগম জিয়া। বেগম জিয়ার অদূরদর্শিতা ও লোভের কারণে আন্তর্জাতিক বিশ্বেও প্রশ্নবিদ্ধ হয় বাংলাদেশ।

জঙ্গিবাদে বিএনপি-জামায়াত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক এক অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আসার পরপরই শুরু হয় জেএমবির নাশকতা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং চারদলীয় জোট সরকারের প্রভাবশালী কয়েক মন্ত্রী-এমপি-নেতার প্রত্যক্ষ মদদেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল কুখ্যাত জেএমবি নেতা বাংলাভাইরা। ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আড়ালে জামায়াতের প্রত্যক্ষ পরামর্শে বিরোধী দল দমনে জঙ্গিবাদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মদদ দেন বেগম জিয়া ও তারেক রহমান।

তিনি আরো বলেন, সারাদেশে একযোগে সেই বোমা হামলা ও জঙ্গিবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু,আলমগীর কবির, মিজানুর রহমান মিনু, নাদিম মোস্তফা ও শীষ মোহাম্মদের বিরুদ্ধেও মামলাও হয়েছিল।

এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিবাদের স্থান থাকতে পারে না। এ দেশের মানুষ সাংস্কৃতিকভাবে অসাম্প্রদায়িক এবং জঙ্গিবাদবিরোধী। সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধ্বংস করতে জঙ্গিবাদকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন বেগম জিয়া। কিন্তু সেই চেষ্টা পুরোটা সফল হয়নি। বেগম জিয়া-তারেক রহমানের মতো মুষ্টিমেয় কতিপয় বিপথগামী ব্যক্তি আমাদের এই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে নষ্ট করতে পারবে না। আমার বিশ্বাস, সকলের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ একটি নিরাপদ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করতে পারবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়