ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

সাফল্যের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ সম্পন্ন করতে চায় বিসিবি

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ৪ নভেম্বর ২০২০  

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)

আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট জৈব সুরক্ষা বলয়ে সম্পন্ন করতে পারলে তা বড় একটি সাফল্য হবে বলে মনে করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টুর্নামেন্টে অংশ নিবে ৫টি দল। ফলে খেলোয়াড় ও স্টাফ সহ মোট ১০০জনকে টুর্নামেন্টের জৈব সুরক্ষা বলয়ে রাখতে হবে। এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে বলয়ে রাখার বিষয়টা যে বিসিবির জন্য কঠিন একটি কাজ সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

তবে এই চ্যালেঞ্জটিই সফলভাবে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে বোর্ড। যার উদ্যেশ্য হচ্ছে জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন দ্বিপাক্ষিক সিরিজটিকে সম্পুর্নভাবে জৈব সুরক্ষা বলয়ে সম্পন্ন করা।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দুই দলকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রাখা অনেক বেশী সহজ হবে। ৫ দলের বিষয়টা ভেবে দেখুন। আমরা যদি ওই ৫ দলকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রাখতে পারি তাহলে সেটি হবে আমাদের জন্য বিশাল সফলতা। আমরা যদি সফলতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ সম্পন্ন করতে পারি, তাহলে সেটি আমাদের আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে দেবে। এখানে পুরোদমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের জন্য এটি হবে প্রথম ধাপ।

করোনার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে সফলতার সঙ্গে বিবিসি প্রেসিডেন্টস কাপ আয়োজনের ফলে ধীরে ধীরে ক্রিকেটকে মাঠে ফেরানোর আত্মবিশ্বাস পেয়েছে বিসিবি। তিন দলের ৫০ ওভারের ওই টুর্নামেন্ট জৈব সুরক্ষা পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে সময় ক্রিকেটারদের মাসব্যাপী আবাসিক ক্যাম্পও সম্পন্ন করেছে বোর্ড। যা বেশ সাবলীলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং ক্যাম্পে কোন কোভিড-১৯ এর সংক্রমন ধরা পড়েনি। যেটি বিসিবির জন্য দারুণ অর্জন।

কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে ছয় মাসের নির্বাসনের পর এই প্রত্যাবর্তন ছিল বেশ সাবলীল। আগস্টে প্রথমে ক্রিকেটারদের একক অনুশীলনের জন্য বিসিবির সুবিধাগুলো গ্রহনের অনুমতি দেয়া হয়। পরের ধাপে ছোট ছোট গ্রুপে অনুশীলন ও প্রশিক্ষনের উদ্যোগ নেয়া হয় এবং সবশেষ ২০ সেপ্টেম্বর জাতীয় দল গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয় শ্রীলংকার বিপক্ষে ওই মাসে তিন টেস্ট ম্যাচের সিরিজের জন্য।

যদিও দুই বোর্ডের মধ্যে কোভিড প্রটোকল নিয়ে সৃস্ট জটিলতায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য লংকা সফর স্থগিত হয়ে গেছে। কিন্তু বেশ দ্রুত বিকল্প পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় বিসিবি। কয়েকটি দুই দিনের ম্যাচ আয়োজনের পর ৫০ ওভারের প্রেসিডেন্ট কাপ আয়োজন করা হয় যেখানে সম্পৃক্ত ছিল তিন দলের ৪৮জন ক্রিকেটার।

বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপের জন্য বিসিবির জৈব সুরক্ষা পরিকল্পনা সফল হয়েছে । কোন ঝামেলা ছাড়াই এটি সম্পন্ন হয়েছে। আরেকটি সফল টুর্নামেন্ট দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর বিষয়ে বোর্ডকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে বলে জানান প্রধান নির্বাহী।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমরা কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছি। পরিকল্পনার বিশেষ লক্ষ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানো। প্রথম ধাপে আমরা আমাদের সুযোগ সুবিধাগুলো খুলে দিয়েছি। এরপর একক অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছি, এবং পরে ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করে অনুশীলন শুরু করেছি। এরপর অনুশীলন শুরু করে জাতীয় দল। লক্ষ্য ছিল শ্রীলংকা সফর। শ্রীলংকা সফর স্থগিত হবার পর আমরা দুটি দুই দিনের ম্যাচের আয়োজন করি এবং পরে প্রেসিডেন্ট কাপের আয়োজন করি।

সুজন বলেন, যদিও এটি চ্যালেঞ্জিং ছিল, তারপরও দর্শকদের দৃস্টিভঙ্গি এবং সমস্ত কিছু বিবেচনা করে আমরা সফল হয়েছি। কিন্তু আমরা মনে করি এর মাধ্যমে নিজেদেরকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরিয়ে নেয়ার একটি নির্দেশনা পেয়েছি আমরা। এখানে কোন ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে তার একটি দিকনির্দেশনা খুঁজে পেয়েছি। সুতরাং টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে আমরা আরো বেশী অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবো। পরে আমরা হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের জন্য আমাদের আগ্রহ প্রকাশ করতে পারবো।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়