সাশ্রয়ী হওয়ার শপথ নিলেন নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

তেল, গ্যাস, পানি, খাদ্য ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার শপথ করলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ শপথ বাক্য পাঠ করান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সাইন্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফিরোজ আহমেদ। 

শপথে তেল, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ও খাদ্য অপচয়ে রোধে সচেষ্ট থাকার পাশাপাশি অহেতুক লাইট-ফ্যান-হিটার ব্যবহার না করার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ঐকমত্য পোষণ করেন। নোবিপ্রবি থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসিব আল আমিনের পরিচালনায় এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সাইন্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফিরোজ আহমেদ বলেন, তরুণ প্রজন্ম সংকট কী জিনিস তা আগে উপলব্ধি করেনি। কিন্তু আমরা বিভিন্ন সময়ে বিষয়টি উপলব্ধি করেছি। বর্তমানে সারা বিশ্বে একটি সংকট রয়েছে। যা কখন শেষ হবে বলা যাচ্ছে না। কিন্তু আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থেকে সাশ্রয়ী হতে পারি তাহলে দেশ উপকৃত হবে।

 অধ্যাপক ড. মো. ফিরোজ আহমেদ আরো বলেন, যখন বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়, তা সাথে সাথে শেষ হয়ে যায় না। করোনা মহামারি সারাবিশ্ব থেকে এখনো যায়নি। সারাবিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের মুক্তির দূত হলো তরুণ প্রজন্ম। এদের বুঝাতে পারলে ১৬ কোটি মানুষ বুঝতে পারবে। কেননা, তরুণ প্রজন্ম স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের পথে আমরা হাঁটছি। সে জায়গা থেকে সবাইকে সচেতন ও সাশ্রয়ী হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ১৪তম আবর্তনের শিক্ষা আকলিমা আক্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে মনে করে আমরা অযথা বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির অপচয় করি। এদিকে সবার দৃষ্টি দেওয়া উচিত। বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত এবং পরিবারের সবাইকে বুঝাতে হবে।

নোবিপ্রবি থিয়েটারের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, পৃথিবীকে সুন্দর করতে হলে সবার আগে নিজেকে সুন্দর হতে হবে। থিয়েটার হচ্ছে সমাজের দর্পণ। সব ধরনের সমস্যা আমরা থিয়েটারের মাধ্যমে তুলে ধরি।  আমরা সচেতন না হলে দেশ পিছিয়ে যাবে। তাই শ্রেণিকক্ষ থেকে শুরু করে আবাসিক হলে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও খাবারের অপচয় রোধে সচেতন হওয়া উচিত।

নোবিপ্রবি থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসিব আল আমিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মীরা মিলে শিক্ষকের সাথে শপথ করেছি। তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ সারাবিশ্বে সমস্যা। আমরা এ সমস্যা কাটিয়ে উঠবো । সেজন্য আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। সাশ্রয়ী হলে আমরা যেকোনো সংকট মোকাবিলা করতে পারবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদারুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি যেকোনো সংকট মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন। সে লক্ষ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিসে নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান অনুযায়ী চলছি।