ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাত নারীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ৮ জুলাই ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের এক যুবরাজের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন সাত নারী। অভিযোগকারী নারীদের বেশিরভাগই ফিলিপাইনের। তারা ফ্রান্সে যুবরাজের কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন।

এদিকে সাত নারীর করা অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে ফ্রান্সের আদালত। ফরাসি প্রসিকিউটরা বলছেন, বিষয়টি তারা গভীরভাবে তদন্ত করছেন।

সাত নারীর অভিযোগ তাদের ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে দূরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে রাখা হতো। যুবরাজের মালিকানাধীন ওই অ্যাপার্টমেন্টে তাদের সঙ্গে দাসদের মতো আচরণ করা হতো।

ফরাসি গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৫ সালে ওই নারীদের সাথে বাজে ধরনের আচরণ করা হয়েছে। নারীদের অভিযোগের পর সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে মানবপাচার সংশ্লিষ্ট বিষয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে।

এছাড়া মামলার প্রসিকিউটররা অভিযোগের বিষয়ে ওই নারীদের বক্তব্য শুনেছেন। অভিযুক্ত সৌদি যুবরাজ এই মুহূর্তে ফ্রান্সে না থাকায় তার কোনো বক্তব্য নিতে পারেননি প্রসিকিউটররা। তবে যে যুবরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার নাম প্রকাশ করেনি ফ্রান্সের কোন গণমাধ্যম।

ওই সাত নারীদের সৌদি আরবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তারা সৌদি আরব ও ফ্রান্সে যুবরাজ এবং তার পরিবারের কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছেন। অভিযোগে তারা বলেন, কয়েকজনকে ফ্লোরে ঘুমাতে হতো। যুবরাজের চার সন্তানের জন্য খাবার পরিবেশন করার সময় শুধু খাবার গ্রহণের অনুমতি ছিল তাদের।

ফ্রান্সের বেসরকারি সংস্থা এসওএস এসক্লেভসের প্রধান আনিক ফুগেরক্স বলেন, যখন প্রথম তাদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, তখন তারা সবাই ছিল অত্যন্ত ক্ষুধার্ত। এ বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে। তারা সেই সময় ক্ষুধার কারণে কাঁদছিল।

এর আগে নিজের অ্যাপার্টমেন্টের এক কর্মীকে মারধর করার অভিযোগে সৌদি আরবের প্রিন্সেস হাসসা বিনতে সালমানের ১০ মাসের স্থগিত জেল দেওয়া হয়েছিল এবং জরিমানা করা হয়েছিল ১১ হাজার মার্কিন ডলার।

সৌদি আরবে গৃহকর্মীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ বহুদিনের। এনিয়ে বারবার সমালোচনাও করেছেন দেশটির মানবাধিকারকর্মীরা। তাদের দাবি সৌদি আরবে বর্তমান কাফালা পদ্ধতিতে সংস্কার প্রয়োজন। যার মাধ্যেমে দেশটিতে গৃহকর্মী নিয়োগ করা হয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়