হজে প্রথমবারের মতো নিরাপত্তার দায়িত্বে সৌদি নারী সেনা
ছবি: রয়টার্স
সৌদি নারী মোনা কাজ করেন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীতে। এবারের হজের সময় তিনি হাজিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলেছেন। কাজ করেছেন পবিত্র শহর মক্কায়।
মোনা একাই নন, এবারের হজে হাজিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল সৌদি আরবের নারী সেনাদের একটি দল। এবারই প্রথম হাজিদের নিরাপত্তায় মক্কা ও মদিনায় নারী সেনাদের নিয়োগ দিয়েছিল সৌদি সরকার। গত এপ্রিল থেকে দেশটিতে নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন নারী সেনারা।
খাকি রঙের সামরিক পোশাকের সঙ্গে লম্বা ঝুলের জ্যাকেট, ঢিলেঢালা ট্রাউজার পরে পালা করে হাজিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলেছেন নারী সেনারা।
মোনা বলেন, ‘আমার বাবাও সেনাবাহিনীতে ছিলেন। তিনি মারা গেছেন। সেনাসদস্য হতে তিনি আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। আমি তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে পবিত্র এই জায়গায় দায়িত্ব পালন করেছি। হাজিদের জন্য কাজ করতে পারাটা খুবই সম্মানের।’
মোনার মতো হাজিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলেছেন সৌদি আরবের আরেক নারী সেনা সামার। তিনি পবিত্র কাবাঘরের পাশে দায়িত্বে ছিলেন। মনোবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেছেন তিনি। এরপর যোগ দিয়েছেন সেনাবাহিনীতে। সামার বলেন, ‘সেনাসদস্য হতে পরিবারের সদস্যরা আমাকে ভীষণ উৎসাহ জুগিয়েছে।’
একসময় সৌদি আরবের সমাজ ছিল বেশ রক্ষণশীল। সেই অবস্থান থেকে দেশটিকে ধীরে ধীরে বের করে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তাঁর হাত ধরে দেশটিতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম চলছে। এর লক্ষ্য সামাজিক বৈচিত্র্য নিশ্চিত করা ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ।
‘ভিশন ২০৩০’ নামের এই সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদি নারীদের জীবন বদলে দিতে বেশ কিছু সাহসী উদ্যোগ নিয়েছেন যুবরাজ বিন সালমান। অভিভাবক ছাড়া ভ্রমণ করা, একাকী থাকা, গাড়ি চালানো, স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখাসহ আরও কিছু যুগান্তকারী অধিকার পেয়েছেন রক্ষণশীল সৌদি আরবের নারীরা।
মূলত এই সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই সৌদি সেনাবাহিনীতে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। পবি
ত্র হজের সময় হাজিদের নিরাপত্তার দায়িত্বও নারী সেনাদের হাতে দেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও সৌদি আরবের বাইরে থেকে কেউ হজে অংশ নিতে পারেননি।
- সোনিয়া গান্ধীর হাতেই থাকছে কংগ্রেসের নেতৃত্ব
- বাংলাদেশের সঙ্গে আরো জোরালো সম্পর্ক গড়ার উদ্যোগ ভারতের
- ‘বৈশ্বিক সম্পর্কের দিকে’ এগোচ্ছে চীন!
- ভিয়েতনাম যুদ্ধের চেয়েও করোনায় বেশি প্রাণহানি যুক্তরাষ্ট্রে
- করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের
- সিরিয়ায় বোমা বিস্ফোরণে শিশুসহ নিহত ৪০
- গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাখ ২৫ হাজার আক্রান্ত
- মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৬৭ হাজার ছুঁইছুঁই
- ট্রাম্প জাতিসংঘে ‘রাজনৈতিক ভাইরাস’ ছড়াচ্ছে: চীন
- নাভালনিকে নিরাশ করেনি ভোটাররা