ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৫ ১৪৩০

২০৩৭ সালে বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে হবে বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:১৯, ১১ মার্চ ২০২৩  

২০৩৭ সালে বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে হবে বাংলাদেশ

২০৩৭ সালে বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে হবে বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের যাত্রাকে মসৃণ করতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বিশ্বের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা আসুন, বিনিয়োগ করুন, বাংলাদেশ সবসময় প্রস্তুত আপনাদের আগমনের জন্য। বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করেই বিনিয়োগ করুন।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ  চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র (এফবিসিসিআই) সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সহযোগিতায় (বিডা) এফবিসিসিআই এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের উন্নত, সমৃদ্ধ এবং উদ্ভাবনী স্মার্ট দেশ হিসেবে বিনির্মাণের জন্য আমাদের অভিযাত্রায় যুক্ত হতে আমি আপনাদের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ এখন ২০২৬ সাল নাগাদ এলডিসি থেকে বের হয়ে যাবার জন্য ৫ বছর প্রস্তৃতিমূলক সময় পার করছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ আমাদের দেশের জন্য একইসঙ্গে অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করবে আবার অনেকগুলো চ্যলেঞ্জও আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।
‘কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমরা কঠোর বাণিজ্য প্রতিযোগিতাসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতাও অর্জন করবো। আমি দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে এসব সুযোগ কাজে লাগাতে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আহবান জানাচ্ছি, বলেন তিনি।
তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘এখানে কোন হতাশার কথা শুনতে চাইনা। এখন থেকে নিজেদেরকে তৈরি করতে হবে। যেসব চ্যালেঞ্জ সামনে আছে, সেগুলো আমরা মোকাবেলা করবো ইনশাল্লাহ।’
উত্তরণ-পরবর্তী পরিবেশে চ্যালেঞ্জসমূহ মেকাবিলায় তাঁর সরকার ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে বলেও কথা দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯-এর অভিঘাত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বাণিজ্যিক অবরোধ ও পাল্টা অবরোধ বাংলাদেশের মত উন্নয়নকামী দেশগুলোকে কঠিন সমস্যার মুখোমুখি করেছে। এমনকি উন্নত দেশগুলোও হিমসিম খাচ্ছে।
‘নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধিসহ মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারন মানুষ কষ্ট পাচ্ছে ’ উল্লেখ করে তিনি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসার উপায় খুঁজে বের করতে হবে এবং সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে নিজেরা নিজেদের বাজার হারাবেন।’
সরকার প্রধান বলেন, সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছি। সমৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের বর্তমান প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করতে হবে যেখানে ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
‘আমাদের প্রতিজ্ঞা নিতে হবে যে আমরা কোনমতেই ব্যর্থ হবো না। যে কোন ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই সফল হব প্রতিবন্ধকতার উত্তরণ ঘটাতে। কারণ, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনকারি একটি দেশ, আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবেই আমাদের দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। তাই সকলের সহযোগিতা আমাদের একান্তভাবে দরকার।’ বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড.মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি, ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী কর্মা দরজি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার উপ-মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত জিয়াংচেন ঝাং, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র ও প্রদর্শিত হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ‘এফডিআই’ এবং স্থানীয় বেসরকারি বিনিয়োগ উভয়ের জন্য ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এখন বাংলাদেশের জাতীয় ব্যবসায়িক পরিবেশ কর্মসূচি ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ইমপ্রুভমেন্ট প্রোগ্রাম’ (বিআইসিআইপি) বাস্তবায়ন করছে। এর আওতায় আগামী ৫০ সপ্তাহে ৫০টি সংস্কার এবং আগামী তিন বছরে ১শ’টি বিনিয়োগ পরিবেশ সংস্কার করা হবে।
তিনি বলেন, ‘যেন ঐ লাল ফিতার দৌরাত্ম না থাকে, সেটা সরিয়ে দেয়া হবে। সিদ্ধান্ত হবে, সাথে সাথে বাস্তবায়ন হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কতৃর্পক্ষ ‘বেজা’ ২০৩০ সালের মধ্যে ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থ্াপনের লক্ষ্যে কাজ করছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারিদের জন্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং প্রণোদনাও দেয়া হচ্ছে।
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় শক্তিশালী রপ্তানি কৌশল এবং শিল্পনীতি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যা শিল্পের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি চমৎকার নীতি নির্দেশনাও প্রদান করবে।
মাত্র ১৪ বছরে সকলের সহযোগিতায় তাঁর সরকার বাংলাদেশের ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়সমূহ এবং বাণিজ্য সংহতকরণ বাংলাদেশকে গত দশ বছরে গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি হারে জিডিপি অর্জনে সহায়তা করেছে। এমনকি কোভিড-১৯ আঘাত হানার ঠিক আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ শতাংশের বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। মাথাপিছু আয় মাত্র এক দশকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২,৮২৪ মার্কিন ডলারে। জিডিপি’র আকার ২০০৬ সালের ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বর্তমানে ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে।
কোভিড-১৯ এর অভিঘাত এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বমন্দার আঁচ না এলে এরমধ্যে আরো ২ থেকে ৩ ভাগ দারিদ্র হ্রাস সম্ভব হতো বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। এজন্য ব্যক্তিখাতে ভোগ বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ, শক্তিশালি গ্রামীণ অর্থনীতি, প্রবাসী আয় বৃদ্ধি, গ্রামীণ ও জ¦ালানি খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বেসরকারি খাতকে উন্মুক্তকরণ এবং সর্বোপরি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে কৃতিত্ব দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আশা করা হচ্ছে ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।’
তাঁর সরকার ব্যাপকহারে টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছে উল্লেখ করে তিনি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নদীর তলদেশে টানেল, মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ এবং গণপরিবহন ব্যবস্থার সম্প্রসারণের তথ্য তুলে ধরেন।
সরকার প্রধান বলেন, পদ্মা সেতু জাতীয় ও আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাবে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়াবে এবং ন্যূনতম ১ দশমিক দুই তিন শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
‘এসব সাফল্যের ওপর দাঁড়িয়েই বাংলাদেশ এখন ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ মধ্য-আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতে চায়। সেটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এই রূপকল্প অর্জনের জন্য তাঁর সরকার প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ প্রণয়ন করেছে। যেখানে বেসরকারি এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের একটি কৌশলগত পথরেখা প্রদান করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘যদি প্রতি বছর গড়ে ৫ শতাংশের বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রাখা যায়, তাহলে আশা করা হচ্ছে ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে সক্ষম হবে বলে আশাকরি।’
রূপকল্প-২০৪১ অনুযায়ী তাঁর সরকার এফডিআই-সহ বেসরকারি বিনিয়োগকে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছে, উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে জিডিপিতে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুপাত ৩১ দশমিক চার-তিন শতাংশে উন্নীত করতে চাই। বাংলাদেশে এখন জ্বালানি, পানি, লজিস্টিকস এবং পরিবহন খাতে ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অবকাঠামো গড়ার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে শুধু লজিস্টিকস খাতই ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আর তখন যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলোকে এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে যেতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন। একে অনেক উচ্চকাঙ্খা মনে হলেও সবসময় একটা ভাল লক্ষ্য থাকা উচিত বলেও এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সাল লাগাদ বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত ও ধনীক শ্রেণির সংখ্যা হবে ৩ কোটি ৪০ লাখ। ২০৪০ সালের মধ্যে আনুমানিক মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৮৮০ মার্কিন ডলার। কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ৩শ’কোটি মানুষের আঞ্চলিক বাজারের কেন্দ্রস্থল হতে পারে এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধ হিসেবে বাংলাদেশ বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশে ব্যবসার অফূরন্ত সুযোগ বিদ্যমান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিশাল কর্মীবাহিনী থাকার এবং কৃষিখাতের বিভিন্ন সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে ৬৮ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ কর্মজীবী বয়স-বিভাগে অবস্থান করছে। সহজেই প্রশিক্ষিণযোগ্য একটি তরুণ জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা বেসরকারি বিভিন্ন খাতের বিনিয়োগে অবদান রাখতে পারে।
১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী প্রায় ১১ কোটি ৪০ লাখ নাগরিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে যেকোনো বিনিয়োগে মূল্যবান অবদান রাখতে প্রস্তুত বলেও তিনি জানান।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডিজিটাল খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২২ সালে আইসিটি খাতে প্রায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে। আশা করা হচ্ছে ২০২৫ সাল নাগাদ এই খাতে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশে প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যা বিশ্বব্যাপী অনলাইন শ্রমের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ৩৮টি হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করছে যে গুলোও বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়