২৩ অক্টোবর ১৯৭১: আজকের দিনে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা
ফিচার ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
১৯৭১ সালের ২৩ অক্টোবর দিনটি ছিল শনিবার। এই দিন ৮ নম্বর সেক্টরের বেতাই সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা রামনগর নামক স্থানে এক প্লাটুন পাকসেনাকে এ্যামবুশ করে। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর দুই জন সৈন্য নিহত ও তিন জন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় নিজেদের অবস্থানে নিরাপদে ফিরে আসে।
৮ নম্বর সেক্টরের গোজাডাঙ্গা সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা পাকসেনাদের মুহাম্মদপুর অবস্থানের ওপর মর্টারের সাহায্যে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্য হতাহত হয়। কালিহাতী থানার চারান নামক স্থানে মিলিশিয়া সমর্থিত রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিবাহিনী সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের অকস্মাৎ আক্রমণে ৩৯ জন রাজাকার এবং তিন জন মিলিশিয়া নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর কেউ হতাহত হয়নি।
২ নম্বর সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা চৌদ্দগ্রামের একমাইল উত্তরে পাকসেনাদের কালিরবাজার ঘাঁটির ওপর মর্টার এবং আর.আর এর সাহায্যে আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১২ জন সৈন্য হতাহত হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কয়েকটি রাষ্ট্র সফরে যাবার আগে জাতির উদ্দেশ্যে এক বেতার ভাষণে বর্তমান সঙ্কটপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জনগণকে সংযত এবং ঐক্য ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হবার আহ্বান জানান।
করাচীতে পিপলস্ পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত থাকলে পূর্ব পাকিস্তানের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে তার দলের প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। পূর্ব পাকিস্তানের শ্রম, সমাজকল্যাণ ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী এ.এস.এম. সোলায়মান পিটিআইকে জানান, শিল্প কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগদান করে উৎপাদন বৃদ্ধি করে চলেছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে তথ্যমন্ত্রী মুজিবুর রহমানসহ আরো ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পরিষদে এ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রতিনিধির সংখ্যা ১৮ জনে দাড়িয়েছে। জাতিসংঘে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য শাহ আজিজ দেশে ফেরার আগে সাংবাদিকদের তার মিশনকে অত্যন্ত সাফল্যজনক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ’ ধাপ্পার স্বরূপ এখন অনেকটা উম্মোচিত হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামির সাধারণ সভায় ঢাকার আমীর এবং মজলিসে শুরার সদস্য নির্বাচিত হয়। আমীর হিসাবে অধ্যাপক গোলাম সরওয়ার এবং শুরা সদস্য হিসাবে কে.জেড.মুরাদ, অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দুস, অধ্যাপক হেলালউদ্দিন, শেখ নূরউদ্দিন, এ. জব্বার চাখরী, তমিজউদ্দিন আহম্মদ, এম.এ. রশীদ, সৈয়দ রফী আহমদ, রিজভী, এস.এম. হুমায়ুন, আব্দুল মান্নান তালেব নির্বাচিত হন।
সাপ্তাহিক বাংলার বাণী পত্রিকার এক রিপোর্টে বলা হয়: খুলনা জেলার আশাশনি এলাকায় একটি রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ৬৪ জন রাজাকারকে হত্যা করে। এ সময় তারা ৫টি রাইফেলও দখল করে। মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল খুলনার পাটকলঘাটায় হানাদার বাহিনীর উপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে ১৫ জন খানসেনাকে হত্যা করে। এছাড়া তারা খুলনার শ্যামনগর এবং ভার্শোলা এলাকায় খানসেনার উপর পৃথক আক্রমণ চালিয়ে ১১ জন শত্রু সেনাকে হত্যা করে।
- করোনায় আক্রান্ত হলেই আলো জ্বলবে মাস্কে
- শূন্য থেকে জনপ্রিয়, মা-মেয়ের সফল উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প
- দীর্ঘতম জাতীয় পতাকা বানিয়ে গিনেস বুকে বাংলাদেশের ইমরান
- অনলাইন মাধ্যমে সার্টিফিকেট সংশোধন করার উপায়
- শহীদ শেখ জামাল : সেনাবাহিনীর গর্বিত সন্তান
- নম্বর প্লেটের কোন বর্ণের কী অর্থ?
- দুঃখিত ড. জাফরুল্লাহ, আপনার উদ্দেশ্য মহৎ নয়
- বিশ্বসেরা ধনী ব্যক্তিদের অর্ধাঙ্গিনীরাও নিজ কর্মগুণে প্রতিষ্ঠিত
- বিশ্বের সফল ব্যক্তিরা ঘুমানোর আগে যা করেন
- ‘কন্যা শিশু দিবস’এলো যেভাবে