২৩ অক্টোবর ১৯৭৩: শান্তি-সহযোগিতার নতুন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা বঙ্গবন্ধুর
নিউজ ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
অতীতের বিরোধ ও সংঘাতময় পথের পরিবর্তে শান্তি ও সহযোগিতার নতুন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে। আমাদের সকলের উচিত এ প্রচেষ্টাকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য আত্মনিয়োগ করা। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের এই দিনে এ আহ্বান জানান।
তিনি ঘোষণা করেন, তার দেশ—এশিয়া তথা বিশ্বের স্থায়ী শান্তি এবং সমৃদ্ধির জন্য প্রতিটি ফলপ্রসূ পদক্ষেপকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে যাবে। জাপানে ছয় দিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় সফরের এদিনে জাপান প্রেসক্লাবে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ সভায় ভাষণ প্রদানকালে বঙ্গবন্ধু এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘বস্তুত এই জাতীয় ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন উৎসাহব্যাঞ্জক লক্ষণ। ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে ভারত মহাসাগরকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত এলাকা ঘোষণায় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শান্তি, স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষ অঞ্চলে পরিণত করার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে নিরপেক্ষ করার প্রস্তাবের মধ্যে আমরা এর কিছু আভাস পাই। তবে এই জাতীয় পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। যাতে এটা বাস্তব রূপে দেখা দেয়। এই জাতীয় প্রচেষ্টার প্রতি আমাদের অবশ্যই পূর্ণ সমর্থন দিতে হবে।’
উপমহাদেশে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া ও উপমহাদেশে স্থায়ী শান্তি স্থাপন এবং সকল অমীমাংসিত বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। দিল্লিচুক্তি এই প্রচেষ্টারই ফল। আনন্দের সঙ্গে আমি জানাতে চাই যে, এই চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে। এই চুক্তি কার্যকর করার ব্যাপারে আমাদের দিক থেকে চেষ্টার ত্রুটি হবে না। এ ব্যাপারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে যে সাহায্য আমরা পেয়েছি তা সত্যিই প্রশংসনীয়। দিল্লিচুক্তিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যকার অমীমাংসিত আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তির একটা ব্যবস্থা রয়েছে। তাই এই চুক্তির পরিপন্থী যুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন যে কোনও কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাভাবিকীকরণ প্রচেষ্টা এবং শান্তির অন্বেষণ ব্যাহত হতে বাধ্য।’
বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সকল দেশ, বিশেষ করে এশিয়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে বাংলাদেশের ঐকান্তিক আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন। পশ্চিম এশিয়ার বিস্ফোরণমুখী পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু বলেন, আরবদের এলাকা দখলমুক্ত করে পশ্চিম এশিয়ার ন্যায়সঙ্গত সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত এশিয়া তথা বিশ্বের শান্তি ফিরে আসবে না।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম চলাকালের দুঃসময়ের দিনে জাপান সরকার এবং দেশটির জনগণ বাংলাদেশের জনগণের জন্য যা কিছু করেছেন তার জন্য জনসাধারণ, সরকার ও ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মধ্যপ্রাচ্যে বিরতি ঘোষণার পরও যুদ্ধ থামেনি। তোপের মুখে যুদ্ধবিরতি খান খান হয়ে গেছে। কামানের গর্জন আর যুদ্ধবিমানের বোমাবর্ষণে যুদ্ধবিরতি ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। দুটো রণাঙ্গনে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে। মিসর-ইসরায়েল পরস্পরের বিরুদ্ধে অসংখ্যবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এবং আত্মরক্ষার্থে আবার যুদ্ধ শুরুর কথা বলেছে।
ওদিকে ইসরায়েলের মুরুব্বি খ্যাত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন ইসরায়েলিদের বীরত্বে পুলক ও আনন্দ প্রকাশ করেন এবং দখল করা এলাকা ধরে রাখার পরামর্শ দেন। মধ্যপ্রাচ্য বার্তা সরবরাহ প্রতিষ্ঠান বলেছে, মিসরে ইসরায়েলিদের মধ্যে ঘোরতর যুদ্ধ শুরু হয়েছে। উভয়পক্ষ চলতি লড়াইয়ের সবচেয়ে মারাত্মক ও প্রচণ্ড যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। শত শত ট্যাংক সাজোয়াঁ গাড়ি এবং অগণিত জঙ্গি বোমারু বিমান নিয়ে মিসরীয় বাহিনী সুয়েজ খাল এলাকায় শত্রুর ওপর আঘাত হানছে। সিরীয় ফ্রন্টে এদিন প্রচণ্ড আকাশযুদ্ধ হয়।
- Metro-rail brings ease in capital`s nightmare transport system
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বিদেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ওপর : বাংলাদেশ ব্যাংক
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৫ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৬৪
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলবে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ
- করোনা চিকিৎসায় ২০০০ চিকিৎসক, ৫০৫৪ জন নার্স নিয়োগ
- প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদযাপন হবে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
- চাষিদের লোকসান ঠেকাতে ক্ষেত থেকে সবজি কিনছে সেনাবাহিনী
- করোনার সময়ে জরুরি সাহায্য পেতে ফোন করুন