ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

৪২ সেতুতে বদলে গেছে খাগড়াছড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:১৬, ৯ নভেম্বর ২০২২  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বদলে গেছে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। মসৃণ হয়েছে চলাচলের পথ। শঙ্কা আর ঝুঁকি কাটিয়ে এখন সহজ হয়েছে জেলার সেতুগুলো। গাড়ি উঠলেই সেতুর পাটাতনের শব্দে ভয়ে আঁতকে উঠেন না যাত্রীরা। দুর্ঘটনাপ্রবণ সেই দিনগুলো এখন অতীত। গত এক যুগের ব্যবধানে জেলার সড়ক ও সেতুতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। এক দশক আগেও অস্থায়ী ‘বেইলি সেতু’ই ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র ভরসা।

পাটাতন ভেঙে প্রায়ই ঘটত দুর্ঘটনা। ঝুঁকিপূর্ণ সেইসব সেতু এখন অতীত। সময়ের ব্যবধানে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার প্রায় সবকটি সেতুই এখন স্থায়ী পাকা। গত ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ১০০টি সেতু উদ্বোধন করেন। যার মধ্যে ৪২টি সেতুই খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের আওতাধীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি তা উদ্বোধন করেন। পাকা সেতু হওয়ায় খুশি খাগড়াছড়ির মানুষ। বিশেষ করে গাড়ি চালক, যাত্রী-পথচারী ও এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে।

সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীরা জানান, ১৮৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে খাগড়াছড়ি জেলার ১০ সড়কে নির্মিত হয়েছে ৪২টি সেতু। এসব সেতুর মধ্যে রয়েছে পিসি গার্ডার সেতু ও আরসিসি সেতু। এরমধ্যে দীর্ঘতম সেতুটি হচ্ছে ‘খাগড়াছড়ি-পানছড়ি-লোগাং সড়কের লোগাং সেতু’। আর সবচেয়ে ছোট সেতু হচ্ছে চারটি। এক কথায় পাহাড়ি সড়কে এখন ‘অস্থায়ী বেইলি সেতু’ আর নেই বললেই চলে। খাগড়াছড়ির প্রায় সবগুলো বেইলি সেতু অপসারণ করে সেখানে পাকা স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এসেছে গতিশীলতা।

খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, এসব সেতুর মধ্যে রয়েছে পিসি গার্ডার সেতু, আরসিসি সেতু। এতে ব্যয় হয়েছে ১৮৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এরমধ্যে দীর্ঘতম সেতুটি হচ্ছে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি-লোগাং সড়কের ‘লোগাং সেতু’। এটির দৈর্ঘ্য ১৪৩ দশমিক ০৫৪ মিটার। আর সবচেয়ে ছোট সেতু হচ্ছে ৪টি। এগুলোর প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১৬ দশমিক ৫৯ মিটার।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়