ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়া গড়ে তোলা অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আপিল শুনানির জন্য আগামী ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।

চেম্বার জজ আদালতের আদেশের বিষয়টি রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

তিনি জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ২৩ ইটভাটার ১৮ জন মালিকের পক্ষে করা আবেদন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে ইটভাটা মালিকদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহমুদা বেগম। অন্যদিকে পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ কামরুল হোসেন। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়া গড়ে ওঠা সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।চট্টগ্রামের যে ৭১টি অবৈধ ইটভাটায় ইতোপূর্বে জরিমানা করা হয়েছিল, সেগুলোসহ সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রাম প্রশাসন ও সেখানকার পরিবেশ অধিদফতরকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

হাইকোর্টের শুনানিতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ কামরুল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

ওই দিন মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর একটি রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এক আদেশে সাতদিনের মধ্যে চট্টগ্রামে অবৈধভাবে পরিচালিত সকল ইটভাটা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কাঠ ও পাহাড়ের মাটিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে- এমন ইটভাটার তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

মনজিল মোরসেদ বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত) ২০১৯) এর ৪ ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ইটভাটা চালানো যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে আইনের ১৪ ধারা অনুসারে দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় সেখানকার বিভিন্ন এলাকায় শত শত ইটভাটা চলছে এবং এতে করে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। শুধু তাই নয় ১৮২টি ইটভাটা জ্বালানি হিসেবে কাঠ ও পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়