ভুল রাজনৈতিক কৌশলে সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি

ভুল রাজনৈতিক কৌশলে সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দল থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যেকোনো মূল্যে তারা নির্বাচন প্রতিহত করবে। এ লক্ষ্যে নির্বাচনের আগে রেলে নাশকতা, দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ বেশকিছু কৌশলের রিহার্সেলও দিয়েছিল দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো কৌশলই কাজে লাগেনি। উল্টো বারবার ভুল সিদ্ধান্তে নাস্তানাবুদ হয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল ভুল। দলটির নির্বাচনে যাওয়া উচিত ছিল। তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা, সরকার পতন নয়। কিন্তু নির্বাচনের পরও বিএনপি তাদের ভুল অস্বীকার করে এবং আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়।

আন্দোলন অব্যাহত রাখার অংশ হিসেবে সম্প্রতি দলটি সারাদেশে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করে। রাজধানীর নয়াপল্টনে এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

দলের ভুল রাজনতিক কৌশলের কথা স্বীকার করে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার যে কৌশল নিয়েছিল বিএনপি তা বুঝতে পারেনি। এটা বিএনপির ভুল রাজনৈতিক কৌশল।

বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচি ও কৌশলের বিষয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক, ভালো থাকুক, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বেড়ে উঠুক, তা বিএনপি-জামায়াত মেনে নিতে পারে না।

সোমবার সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ছয়তলা ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এদের দেশের প্রতি কোনো প্রেম, ভালোবাসা ও মায়া নেই। এরা সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে আমাদের দেশকে ক্ষতবিক্ষত করতে চায়। এরা আমাদের মমতাবোধকে নষ্ট করে দিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে হানাহানির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চায়।

তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দেশবিরোধী বিএনপি-জামায়াত। এরা দেশের মানুষকে শান্তি দিতে জানে না। দেশের মানুষের মুক্তি, শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে এরা কোনো কাজ করে না। দেশরত্ন শেখ হাসিনা মানুষের জন্য যে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এ চলার পথকে এরা বাধাগ্রস্ত করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চায়। এরা বারবার আমাদের অর্থনীতির ওপর আঘাত আনতে চায়।