বরফ খণ্ড দিয়েই উঁচু স্থাপনা নির্মাণ করলো চীন
ফিচার ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
বরফের তৈরি বাড়িঘর কিংবা শহরের কথা কল্পনাও করা যায় না। তবে বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হলেও তুষারপাত ও বরফের স্বমন্বয়ে এমনই এক হিম শীতল শহর বানানো হয়েছে চীনের হারবিন শহরে। স্বচ্ছ বরফ খণ্ড দিয়ে বানানো হয়েছে উঁচু উঁচু নান্দনিক ডিজাইনের স্থাপনা। যা উৎসুক মানুষের কাছে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
এই বরফের শহরে দেখতে পাওয়া যায়, নানা ধরনের ছোট বড় আর্কিটেকচার। যা দেখার পর রোমাঞ্চিত না হয়ে পারা যায় না। এখানে মিশরের ফারাও তুতেনখামুন, স্ফ্রিংস, বিভিন্ন প্রাণী ও মানুষের ভাস্কর্য, থিম পার্ক, হোটেল-শপিং মল ও নানা স্থাপনা সহ বিভিন্ন আর্কিটেকচার নির্মাণের মাধ্যমে এক রোমাঞ্চকর পরিবেশের দৃশ্যায়ন করা হয়েছে।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এটি কীভাবে সম্ভব হলো? এই সব বরফ গলে যায় না কেন? আমরা সবাই জানি চীনের হারবিন শহরের শীতকালীন তাপমাত্রা মাইনাস ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর এই তাপমাত্রায় বরফ গলে যাওয়া তো দূরের কথা কাটতে গেলেই যন্ত্রের সাহায্য নিতে হয়। ভালো করে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, সেখানে একদল মানুষ জমে থাকা তুষারপাত কাটায় ব্যস্ত রয়েছে।
মূলত জমে থাকা এসব শক্ত তুষারপাত কেটে কেটে বিভিন্ন স্থাপনায় রূপান্তরিত করা হয়। আর তুলনামূলক অধিক শক্ত বরফ খণ্ড দিয়ে বানানো হয় বড় বড় নির্মাণগুলো। প্রতিদিন প্রচুর পর্যটক ঘুরে দেখেন এই অনন্য সুন্দর বরফের শহর। ঘুরে বেড়ানোর জন্য রয়েছে নানা যানবাহনও। রয়েছে বিনোদনের নানা ব্যবস্থা। এ তো গেলো দিনের বেলার চিত্র, রাতের দৃশ্য তো আরো পাগল করার মতো।
নিজের চোখেই দেখে নিন কেমন অদ্ভুদ সুন্দর এক শহর বানিয়ে ফেলেছেন চীনারা। রাতে ঝলমলে দৃশ্যের কারণে, অন্যান্য শহরের সঙ্গে এর পার্থক্য করা বেশ মুশকিল। এখানে স্বচ্ছ বরফের সঙ্গে লাগানো হয়েছে রং বেরঙয়ের রঙিন বাতি। বসানো হয়েছে অসংখ্য ডিজিটাল ডিসপ্লে, যা এই হিম শীতল শহরকে এক জীবন্ত শহরে পরিণত করেছে।
শুধু তাই নয়, এসব স্থাপনার মধ্যে ফুটিয়ে তোলা হয় নানা এনিমেশন ও মুভি ক্যারেক্টর। আকাশে ঝড়ে রঙিন আতশবাজি। তাই রাতের বেলা টেম্পারেচার কমতে থাকলেও কমেনা মানুষের আনাগোনা। বরফের এই শহর মূলত।
চীনের অনন্য কীর্তি! 'Harbin International Icc and Snow Sculpture Festival' যেটি বর্তমান বিদেশী পর্যটকদের টানার জন্য চীনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৯৬৩ সাল থেকে এই ফ্যাস্টিভ্যালের প্রচলন শুরু হয়েছে সেখানে। প্রতিবছরের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে এই ফ্যাস্টিভ্যাল।
২০১৮ সালের ফ্যাস্টিভ্যালে ১৮ মিলিয়ন প্রজতকের সমাগম হয়েছিল। আর তা থেকে চার দশমিক চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল চীন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় আইস ফ্যাস্টিভ্যাল। সবচেয়ে বড় পাঁচ ফ্যাস্টিভ্যালের মধ্যেও একটি। ২০১৯ সালে ছয় লাখ স্কয়ার মিটার জুড়ে আয়োজিত ফ্যাস্টিভ্যালে প্রয়োজন হয়েছিল এক লাখ ১০ হাজার কিউবিক মিটার বরফ এবং এক লাখ ২০ হাজার কিউবিক মিটার স্নো। বরফের ব্লকগুলো টেনে আনা হয় নিকটস্থ সানগুয়া নদী থেকে।
- করোনায় আক্রান্ত হলেই আলো জ্বলবে মাস্কে
- শূন্য থেকে জনপ্রিয়, মা-মেয়ের সফল উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প
- অনলাইন মাধ্যমে সার্টিফিকেট সংশোধন করার উপায়
- দীর্ঘতম জাতীয় পতাকা বানিয়ে গিনেস বুকে বাংলাদেশের ইমরান
- শহীদ শেখ জামাল : সেনাবাহিনীর গর্বিত সন্তান
- নম্বর প্লেটের কোন বর্ণের কী অর্থ?
- দুঃখিত ড. জাফরুল্লাহ, আপনার উদ্দেশ্য মহৎ নয়
- বিশ্বসেরা ধনী ব্যক্তিদের অর্ধাঙ্গিনীরাও নিজ কর্মগুণে প্রতিষ্ঠিত
- বিশ্বের সফল ব্যক্তিরা ঘুমানোর আগে যা করেন
- ‘কন্যা শিশু দিবস’এলো যেভাবে