ঢাকা, বুধবার   ০১ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রী শেফালীসহ তিন জনের যাবজ্জীবন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৪০, ২৫ জানুয়ারি ২০২২  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আমেরিকান প্রবাসী স্বামী সাইদ হাসন বাদলকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় স্যার সলিমুল্লাহ মিটফোর্ড হাসপাতালের কর্মচারী স্ত্রী শেফালীসহ তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জেসমিন আরা বেগম এ রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাভোগের আদেশ দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ড প্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলেন- শেফালীর আত্মীয় নয়ন ও আক্কাস বেপারী।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী সাইদ হাসান বাদল (৪০) ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর পর্যন্ত স্যার সলিমুল্লাহ মিটফোর্ড হাসপাতালের অ্যাকাউন্স সেকশনে অফিস সহকারী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সাইদ কর্মরত থাকাকালীন ১৯৯৯ সালে ঐ হাসপাতালে কর্মরত এমএলএসএস শেফালী (৫০) সুকৌশলে গোপনে সাইদকে বিয়ে করে রাখেন। বিয়ের পর তাদের ঘরে কন্যা সন্তান বৃথি(১৩) জন্ম গ্রহণ করে। ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে সাইদ আমেরিকায় চলে যায়। আমেরিকায় থাকাকালে সাইদ হাসান তার মেয়ে বৃথির যাবতীয় খবচ বহন করতো। কিন্তু তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ছিল। সাইদের অপর ভাই ইঞ্জিনিয়ার জয়েব হাসানসহ ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি আমেরিকা থেকে নগদ ১০ হাজার ইউএস ডলার ও মালামালসহ বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

এ সময় তার ভাতিজা জাহিদ হাসান প্রাইভেটকারে নিয়ে তাকে রিসিভ করতে যায়। সাইদ দেশে আসার খবর শুনে তার স্ত্রী শেফালীও বিমানবন্দরে যায়। সেখান থেকে সাইদ হাসান বাদলকে রিসিভ করে জাহিদ হাসানের প্রাইভেট কারে নেয়া হয়। এরপর মালামালের লাগেজসহ আসার সময় শেফালী বাদলকে শশা খাওয়ায়। এরপর ঐদিন মিটফোর্ড হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের পূর্ব দিকে টিনসেডে জাহিদ হাসানকে রেখে শেফালী ও বাদল মালামালের লাগেজসহ শেফালীর বাসায় চলে যায়। পরবর্তীতে শেফালী বাদলের ভাতিজা জাহিদ হাসানকে জানায়, বাদল অসুস্থ। তাকে মিটফোর্ড হাসাপাতালে নিতে হবে। এরপর বাদলকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদলকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় সাইদের ভাই ডা. শহিদ হাসান কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০২১ সালের ২৪ জুন দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।একই বছরের ১৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেন আদালত। একই বছরের ৩০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময় ১৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়