ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ইভ্যালিকাণ্ডে তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:২৪, ৪ জানুয়ারি ২০২২  

তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া

তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া

প্রতারণার অভিযোগ একজন গ্রাহকের করা মামলায় জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

সাদ স্যাম রহমান নামে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির একজন গ্রাহকের মামলায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বাদী হয়ে এ মামলা করেন তিনি।

মামলার পর এ তিনজনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেক্ষেত্রে তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না, বর্তমানে সে বিষয়েই যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

এ মামলায় মোট নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যরা হলেন- ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েস।

এ মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১০ জানুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি এবং তাদের বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তার কারণে আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন সাদ স্যাম রহমান। এসব তারকার কারণে মামলার বাদী প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও এতে সহায়তা করেছেন তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া। আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ তিন লাখ ১৮ হাজার, যা তিনি এখনো উদ্ধার করতে পারেননি। তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির শুভেচ্ছাদূত ছিলেন তাহসান। ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছাদূত ছিলেন মিথিলা। আর শবনম ফারিয়া ছিলেন প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব হাসান বলেন, মিথিলা ও ফারিয়া উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের জামিনে রয়েছেন। তাহসান দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। এ মামলায় অভিযোগের সঙ্গে তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়ার সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না, সে বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে তাই বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।

মামলার বাদী সাদ স্যাম রহমান বলেন, তাহসান খানকে আমি রোল মডেল মনে করি। তার ওপর আস্থা রেখেই আমি ইভ্যালিতে মোটরসাইকেল অর্ডার করেছিলাম। এছাড়া মিথিলা ও ফারিয়া আছে জেনে আমি আরেকটু আস্থা পেয়েছিলাম। তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া বিজ্ঞাপন প্রচারসহ বিভিন্নভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ক্রেতা আকর্ষণ করে আমিসহ সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আমি আদালতে মামলা করেছি।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়