ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পোশাক খাতের সম্প্রসারণে বিদেশে আরএমজি উইং খোলা হবে: জাহাঙ্গীর আলম

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৫২, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম

সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম

নির্বাচনে বিজয়ী হলে পোশাক খাতের নতুন বাজার সম্প্রসারণে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে আরএমজি উইং খোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বিজিএমইএ নির্বাচনে স্বাধীনতা পরিষদের প্যানেল লিডার। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর আলম জানান, আরএমজি উইং থেকে পণ্যের ব্র্যান্ড, বাজার সম্পর্কে তথ্য দেয়া এবং বায়ারের সঙ্গে কোনো মতবিরোধ হলে তার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশাপাশি শ্রম আইনের অচল ধারাগুলো সংশোধন করে যুগোপযোগী শিল্পবান্ধব শ্রমনীতি তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস পৃথিবী থেকে কবে বিদায় হবে, আদৌ বিদায় হবে কিনা, এর প্রভাবমুক্ত হয়ে বিশ্ববাজার কবে স্বাভাবিক হবে তা অনিশ্চিত। এমন বাস্তবতায় পোশাক খাত থেকে ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি আয় অর্জন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসব ব্যর্থতার দায় কেবল করোনাভাইরাসের না। আমরা মনে করি না নেতৃত্বহীনতা, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে না পারা, আইনি সংস্কার করতে না পারায় অনেক গার্মেন্টস বন্ধের কারণ হয়ে থাকবে।

গার্মেন্টসের সংখ্যা কমে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মিলে প্রায় ৭ হাজার গার্মেন্টস ছিল, এটা কমতে কমতে এখন দুই হাজারের নিচে চলে এসেছে। এর জন্য দায়ী তথাকথিত কমপ্লায়েন্স, এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি কারণে অনেক শিল্প ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিজয়ী হলে পোশাক খাতে কয়েকটি কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন বিজিএমইএ নির্বাচনের এই প্রার্থী। তিনি বলেন, আমরা মনে করি বিজিএমইএ ইউডি ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রডাক্ট কস্ট বিশ্লেষণ করে ন্যূনতম সিএম-এর নিশ্চয়তা বিধান করতে পারে। এ কাজটি করতে পারলে আবারও শিল্প বিকাশ হবে, আমরা এটা করতে চাই।

দ্বিতীয়ত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য স্বতন্ত্র নিরাপত্তা মানদণ্ড তৈরি করা হবে। তৃতীয়ত, শ্রম আইনের ধারাগুলো সংশোধন করে যুগোপযোগী শিল্পবান্ধব শ্রমনীতি তৈরি করা হবে। চতুর্থত, প্রত্যেক বায়ারের জন্য ইউনিফাইড কোড অব প্যাকটিস তৈরি করা হবে।

পঞ্চমত, নতুন বাজার সম্প্রসারণে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে আরএমজি উইং খোলা হবে এবং এই উইং থেকে পণ্যের ব্রান্ডিং, বায়ার সম্পর্কে তথ্য দেওয়া এবং বায়ারের সঙ্গে কোন মতবিরোধ হলে তার সমাধানে উদ্যোগী হওয়া।

ষষ্ঠত, ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, বন্ড লাইসেন্স, পরিবেশ লাইসেন্সসহ অন্যান্য সকল লাইসেন্সের মেয়াদ কমপক্ষে তিন বছর করা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়