ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বাংলাদেশের পতাকা বহন করলেন সীমান্ত ও কৃষ্ণ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:২৬, ২৯ জুলাই ২০২২  

বাংলাদেশের পতাকা বহন করলেন সীমান্ত ও কৃষ্ণ

বাংলাদেশের পতাকা বহন করলেন সীমান্ত ও কৃষ্ণ

ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয়েছে কমনওয়েলথ গেমসের এবারের আসরের। যেখানে শুরুতে শুধু ভারত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্তর পতাকা বহন করার কথা ছিল। 

তবে এবারের মার্চপাস্টে পতাকা বহনের সময় সীমান্তর সঙ্গে ছিলেন বক্সার সুর কৃষ্ণ চাকমা।

গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মার্চ পাস্টের বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন শেফ দ্য মিশন অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু। ৭২ দেশের ৫০৫৪ জনের মার্চপাস্টে ছিল বাংলাদেশের ৩০ জন ক্রীড়াবিদ।

সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক গেমসে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোনো ক্রীড়াবিদের বাংলাদেশের পতাকা বহনের রেকর্ড নেই। সম্ভবত দেশের ক্রীড়া ইতিহাসেই এমন ঘটনা প্রথম। এর আগে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসে মশাল প্রজ্বলন করেছিলেন প্রয়াত কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় জুম্মন লুসাই।

বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হলেও ময়দানের লড়াই শুরু হয় শুক্রবার। একযোগে ১১ ডিসিপ্লিন মাঠে গড়াবে প্রথম দিনে। ১৯ ডিসিপ্লিনের মধ্যে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা এবার অংশ নেবেন সাতটি ডিসিপ্লিনে।

দুই মাদার ডিসিপ্লিন অ্যাথলেটিক্স ও সাঁতার ছাড়াও ভারোত্তোলন, জিমন্যাস্টিকস, কুস্তি, বক্সিং ও টেবিল টেনিসে থাকবে বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিত্ব। এই সাত ডিসিপ্লিনের মধ্যে শুক্রবার চারটিতে নামছে বাংলাদেশ। বক্সিংয়ে মো. হোসেন আলী, সুরু কৃষ্ণ চাকমা ও সেলিম হোসেন রিংয়ে দাঁড়াবেন। এদের মধ্যে হোসেন আলী ৬৩.৫-৬৭ কেজি ওজন শ্রেণীতে, সুরু কৃষ্ণ ৬০-৬৩ কেজিতে ও ৫৪-৫৭ সেলিম হোসেন লড়াই করবেন।

সুর কৃষ্ণদের সঙ্গে প্রথম দিনেই জিমন্যাস্টিকে পুরুষ দলগত ইভেন্টে রিংয়ে নামবে বাংলাদেশ দল। যেখানে শিশির আহমেদ, আবু সাইদ রাফির সঙ্গে থাকছেন নিউজিল্যান্ড প্রবাসী আলী কাদের হক। দলগত ইভেন্টের পাশে আলী কাদের লড়াই করবেন ফ্লোর এক্সারসাইজ ও ভল্টিং টেবিলে। এই আসরে তার এই দুই ইভেন্টের দিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশ।

এছাড়া পুরুষ টেবিল টেনিসে দলগত ইভেন্টে আজ টেবিলের লড়াই শুরু করবেন মোহতাসিন আহমেদ, রামহীম লিয়ন বর্ম, রিফাত মাহমুদ ও মুফরাদুল কায়ের হামজা। সাঁতারে প্রথম দিনে ৫০ মিটার ব্যাটারফ্লাইয়ে মাহমুদুন নবী নাহিদ ও ৫০ মিটার ব্রেস্টস্টোকে পুলে নামবেন মরিয়ম আক্তার।

আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কমনওয়েলথ গেমস বাংলাদেশকে দিয়েছে অন্যরকম পরিচিতি। যদিও সেটা এসেছে শ্যুটারদের কল্যাণে। এই আসরে এ পর্যন্ত পাওয়া আটটি পদকের সবকটিই এনে দিয়েছেন শ্যুটাররা।

১৯৯০ অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসে দুই শ্যুটার আতিকুর রহমান ও আব্দুস সাত্তার নিনি ১০ মিটার এয়ার পিস্তল দ্বৈত ইভেন্টের ফাইনালে ফেভারিট অস্ট্রেলীয় জুটিকে হারিয়ে রীতিমতো বিখ্যাত বনে যান। কমনওয়েলথ গেমসের ইতিহাসে দেশ পায় প্রথম পদকের দেখা। আতিক-নিনির সোনায় মোড়ানো সাফল্য সাহস দিয়েছিল অনুজদের। 

নিরাপত্তা ভাবনায় এবার শ্যুটিং রাখেননি আয়োজকরা। বাংলাদেশের আরেক সম্ভাবনাময় খেলা আরচ্যারিও জায়গা পায়নি ১৯টি খেলার তালিকায়। নারী ক্রিকেটের স্বপ্ন বাছাইয়েই সমাধি হয়ে গেছে।

ব্যক্তিগত কিছু ইভেন্টে ভালো কিছুর প্রত্যাশা আছে বাংলাদেশের। বিশেষ করে জিমন্যাস্ট আলী কাদের হক ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী স্প্রিন্টার ইমরানুরকে নিয়ে আশা দেখছেন অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের কর্তারা। এছাড়া হাই জাম্পে মাহফুজুর রহমান ও উম্মে হাফসারাও আশা দেখাচ্ছেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়