যত দিন আল্লাহর নাম উচ্চারিত হবে, তত দিন দুনিয়া টিকে থাকবে
নিউজ ডেস্ক
যত দিন আল্লাহর নাম উচ্চারিত হবে, তত দিন দুনিয়া টিকে থাকবে
মহান আল্লাহ মানুষকে যত নিয়ামত দিয়েছেন তন্মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো ঈমান। কারণ বান্দা যা-ই করুক না কেন, ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে যেতে পারলে কোনো একসময় সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে আর তার অন্তরে একটি যব পরিমাণও ঈমান বিদ্যমান থাকবে, তাকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। যে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে আর তার অন্তরে একটি গম পরিমাণও ঈমান বিদ্যমান থাকবে, তাকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। এবং যে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে আর তার অন্তরে একটি অণু পরিমাণও ঈমান বিদ্যমান থাকবে, তাকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৪৪)
মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা ইসলাম গ্রহণ করে আমাকে ধন্য করেছ মনে করো না; বরং আল্লাহই ঈমানের দিকে পরিচালিত করে তোমাদের ধন্য করেছেন।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ১৮)
উভয় জগতে ফেরেশতারা যাদের বন্ধু :
কোনো অপরিচিত জায়গায় বন্ধুবান্ধব থাকলে মানুষ মনে জোর পায়। সম্ভাব্য সহযোগিতার আশা করে। সহযোগিতা পেয়েও থাকে। মহান আল্লাহ উভয় জগতে ফেরেশতাদের ঈমানদারদের বন্ধু বানিয়ে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমরা তোমাদের বন্ধু দুনিয়া ও আখিরাতে...।’ (সুরা হা-মিম আসসাজদা, আয়াত : ৩১)
যাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা :
মহান আল্লাহ ঈমানদারদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা রেখেছেন। তাদের জন্য রয়েছে সঠিক পথপ্রাপ্ত হওয়ার ঘোষণা। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং নিজেদের ঈমানে কোনো ত্রুটি মিশ্রিত করেনি, তাদেরই জন্য আছে নিরাপত্তা আর তারাই সুপথপ্রাপ্ত।’ (সুরা আনআম, আয়াত : ৮২)
যারা সৃষ্টির সেরা :
যারা ঈমান আনে এবং নেক আমল করে মহান আল্লাহ তাদের সৃষ্টির সেরা ঘোষণা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, নিশ্চয় তারাই সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে উত্কৃষ্ট।’ (সুরা বায়্যিনাহ, আয়াত : ৭)
যাদের সবাই ভালোবাসতে বাধ্য :
সবাই চায় সবাই তাকে ভালোবাসুক। মহান আল্লাহ বলেন, তিনি ঈমানদার সৎ কর্মপরায়ণদের প্রতি সবার ভালোবাসা সৃষ্টি করে দেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে দয়াময় অবশ্যই তাদের জন্য ভালোবাসা সৃষ্টি করে দেন।’ (সুরা মারইয়াম, আয়াত : ৯৬)
যেভাবে ঈমান বাড়ে :
মহান আল্লাহর আনুগত্য করলে ঈমান ও মর্যাদা বাড়ে, নাফরমানি করলে কমে। নাফরমানি দ্বারা অন্তরে জং ধরে যায়। তখন ভালো কাজ আর ভালো লাগে না। নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, “মুমিন ব্যক্তি যখন গুনাহ করে তখন তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে। অতঃপর সে তাওবা করলে, পাপ কাজ ত্যাগ করলে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করলে তার অন্তর পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। সে আরো গুনাহ করলে সেই কালো দাগ বেড়ে যায়। এই সেই মরিচা, যা আল্লাহ তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন (অনুবাদ) : ‘কখনো নয়; বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরে জং (মরিচা) ধরিয়েছে।” (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২৪৪)
দুনিয়া তত দিন টিকে থাকবে :
যত দিন দুনিয়াতে ঈমানদার থাকবে এবং তাঁদের দ্বারা আল্লাহর নাম উচ্চারিত হতে থাকবে তত দিন দুনিয়া টিকে থাকবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত পৃথিবীতে ‘আল্লাহ’ ‘আল্লাহ’ বলার মতো লোক থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবে না।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৭০)
আল্লাহ তাআলা সবাইকে প্রকৃত ঈমাদানদার ও সৎ কর্মপরায়ণ হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
- বিতর নামাজের ফজিলত
- যে দোয়া পড়বেন সকল প্রয়োজন ও আশা পূরণে
- ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া সাইয়িদুল ইস্তেগফার
- কোরআন পড়ার ফজিলত ও উপকারিতা
- গরিব ও অসহায়দের সাহায্য করুন
- পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা ১৪ অক্টোবর
- ঋণ মুক্তির দোয়া
- মহানবী (সা.) যা দিয়ে সকালের নাস্তা করতেন
- শুভ হিজরি নববর্ষ ১৪৪২
- দোয়া কবুলের সর্বশ্রেষ্ঠ সময়