কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন শুরু
নিউজ ডেস্ক
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কক্সবাজার বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন শুরু
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন শুরু করেছে বেসরকারি খাতে নির্মিত দেশের তৃতীয় বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র। কক্সবাজারে অবস্থিত এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। বর্তমানে এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরাসরি জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, এ কেন্দ্র থেকে ১৮ বছর মেয়াদে দৈনিক ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে সরকার। চীনা কোম্পানি এসপিআইসি উলিং পাওয়ার করপোরেশনের আর্থিক সহায়তায় এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যৌথভাবে স্থাপন করেছে ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি বিডি লিমিটেড।
ইতঃপূর্বে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ২০০৫ সালে ফেনীতে মুহুরী নদীর তীরে বাঁধের কাছে দেশের প্রথম ০.৯ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এর তিন বছর পর কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ১ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরেকটি বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দু’টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রই এখন কার্যত বন্ধ বলে জানা যায়। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার আগে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২২টি টারবাইনের মধ্যে ২০টি স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ চলতি মাসেই শেষ হবে। প্রতিটি টারবাইনের সক্ষমতা ৩ মেগাওয়াট। সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, কেন্দ্রটি বছরে প্রায় ১৪ কোটি ৫০ লাখ কিলোওয়াট/ঘণ্টা পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। কয়লার ব্যবহার ৪৪ হাজার টন এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ এক লাখ আট হাজার ৩০০ টন কমাবে এ প্রকল্প।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৫ সালের মধ্যে সৌর, জলবিদ্যুৎ ও বায়ুবিদ্যুৎসহ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে মোট বিদ্যুতের ১০ শতাংশ উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য নতুন কেন্দ্র নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। এর আগে ২০১৫ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস্য থেকে মোট বিদ্যুতের অন্তত ৫ শতাংশ এবং ২০২০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল; কিন্তু সে লক্ষ্যমাত্রা এখনো অর্জন করা সম্ভব হয়নি।সক্ষমতা ৩০ হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে প্রাক্কললন করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বর্তমানে মোট বিদ্যুতের ২ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনের জন্য নবায়নযোগ্য উৎস থেকে কমপক্ষে ১২ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে।
জানা গেছে, বর্তমানে সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাট ও চুয়াডাঙ্গায় মোট ১০২ মেগাওয়াট সক্ষমতার আরা তিনটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া চাঁদপুরে একটি ৫০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প ও ফেনীতে একটি ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ঠিকাদার বাছাই পাইপ-লাইনে রয়েছে। গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বাগেরহাটের মংলায় একটি ৫৫ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য মংলা গ্রিন পাওয়ার লিমিটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
- Metro-rail brings ease in capital`s nightmare transport system
- বিদেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ওপর : বাংলাদেশ ব্যাংক
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৫ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৬৪
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলবে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ
- করোনা চিকিৎসায় ২০০০ চিকিৎসক, ৫০৫৪ জন নার্স নিয়োগ
- প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদযাপন হবে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
- চাষিদের লোকসান ঠেকাতে ক্ষেত থেকে সবজি কিনছে সেনাবাহিনী
- করোনার সময়ে জরুরি সাহায্য পেতে ফোন করুন