ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে সিজেএম কোর্ট উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫২, ৩১ জানুয়ারি ২০২২  

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জে নবনির্মিত ৭ তলাবিশিষ্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ভবনের উদ্বোধন করেছেন। সেই সাথে তার নামে জেলা আইনজীবী সমিতির ১০ তলাবিশিষ্ট ‘রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভবন’-এর নির্মাণ কাজেরও শুভ সূচনা করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী মো. আনিসুল হক এমপি। গত ৩০ জানুয়ারি রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় নতুন সিজেএম ভবন প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বঙ্গভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি ও অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে আইনমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রেখেছেন।

রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে ১৫ আগস্টের বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে এই অধ্যাদেশ বাতিল করে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমান সরকারও স্বাধীন বিচার বিভাগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আন্তরিক। সেই কারণে বিচারক বৃদ্ধি, এজলাসের সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রত্যেক জেলায় বহুতল সিজেএম কোর্ট ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩১টি জেলায় সিজেএম ভবন উদ্বোধন হয়েছে। বিচারক ও আইনজীবীসহ বিচার প্রার্থীরাও এখন সুন্দর পরিবেশ পাবেন। তিনি বলেন, জেলা থেকে সুপ্রীম কোর্ট পর্যন্ত লিগ্যাল এইড চালু করা হয়েছে দরিদ্র মানুষদের বিনা খরচে বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য। করোনার কারণে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের ব্যাপ্তি বেড়েছে। আদালতে ভার্চুয়াল বিচার কাজ চলছে। এর জন্য জাতীয় সংসদে আইনও পাস হয়েছে। তিনি সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে আন্তরিক হওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন।

সভাপতির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী বলেন, কিশোরগঞ্জের আইনজীবী ভবনের নামকরণ রাষ্ট্রপতির নামে করতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন। তিনি বলেন, ৩১টি জেলার বহুতল সিজেএম কোর্ট ভবন উদ্বোধন হলেও বাকি জেলাগুলোতেও ভবনের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে। বহুতল ভবন হওয়ায় এখন এজলাসের সংখ্যা বেড়েছে। বিচার কাজও তাতে ত্বরান্বিত হবে। আর বিচারকাজ ত্বরান্বিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীও আন্তরিক। সেই কারণেই সারা দেশের আদালতে ১ হাজার ২৯১টি সাপোর্টিং পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিচারকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য মাদারিপুরের শিবচরে জুডিশিয়াল একাডেমি নির্মিত হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

বঙ্গভবন থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার। আর কিশোরগঞ্জ প্রান্ত থেকে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. সায়েদুর রহমান খান, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিব উল্লাহ, জেলা বারের সভাপতি অ্যাড. শাহ আজিজুল হক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আমিনুল ইসলাম রতন। কিশোরগঞ্জ প্রান্তের অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), অন্যান্য বিচারকবৃন্দ ও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাহাদুর আলীসহ বিজ্ঞা আইনজীবীবৃন্দ।

২০১৩ সালের ২০ জুন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন জজ আদালতের পাশে পাট গবেষণা কেন্দ্রের এক একর ৬৬ শতাংশ জায়গার ওপর ৬ তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। পরবর্তীতে ৭ তলা বিশিষ্ট ভবনটি নির্মাণ করা হয় গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে। এর স্থাপত্য নকশা তৈরি করেছে স্থাপত্য অধিদপ্তর। জেলা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাহাদুর আলী জানিয়েছেন, এই ভবনের নির্মাণ, আসবাবপত্র, লিফট, বিদ্যুতায়নসহ পুরো কাজে ব্যয় হয়েছে ৫১ কোটি টাকা। প্রতিটি তলার আয়তন ১৯ হাজার ১৭৬ বর্গফুট। আর ভবনের মোট আয়তন ১ লাখ ৩৪ হাজার ২৩২ বর্গফুট। অন্যদিকে ১০ তলাবিশিষ্ট বার ভবনের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আর এর মোট আয়তন হবে ৯৭ হাজার ২৭ বর্গফুট।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়