ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ক কর্মশালা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ২৭ জানুয়ারি ২০২২  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভৈরবে পরিবেশগত দূষণ রোধে পাদুকা কারখানায় উৎপাদিত বর্জ্যের সঠিক সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ২৬ জানুয়ারি বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভৈরব উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

ভৈরব পাদুকা কারখানা মালিক সমবায় সমিতি লি. এর সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, ভৈরব উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রিফ্ফাত জাহান ত্রপা। পাদুকা উদ্যোক্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাহারুল আলম বাচ্চু, মো. ফরিদ মিয়া, মো. মাসুদ রানা, মো. নাসির উদ্দিন, ইব্রাহিম খলিল, মো. সোহেল মিয়া, ভৈরব হাজী আসমত সরকারি কলেজ প্রভাষক বরকত উল্লা পাঠান প্রমুখ। অতিথিবৃন্দসহ ৩৬ জন পাদুকা মালিক উপস্থিত ছিলেন।

সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্প (এসইপি) এর আওতায় কিশোরগঞ্জ জেলার জুতা উৎপাদনকারী ক্ষুদ্র উদ্যোগসমূহকে পরিবেশ সম্মত টেকসই উদ্যোগে উন্নীতকরণ উপ-প্রকল্পটি সহযোগী সংস্থা পিপলস্ ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি) বাস্তবায়ন করছে। বিশ্বব্যাংক এর অর্থায়নে ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর ব্যবস্থাপনায় পপি উক্ত প্রকল্পটি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব, বাজিতপুর ও কুলিয়ারচর উপজেলায় বাস্তবায়ন করছে।

ভৈরব পাদুকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্থানীয় উদ্যোক্তাগণ পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে একেবারেই সচেতন নয়। পাদুকা কারখানায় স্থানীয় উদ্যোক্তাগণ পাদুকা তৈরীতে বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক দ্রব্য, রেক্সিন, ফোম, চামড়া, প্যাকেজিং ও অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে যেগুলি খুবই দাহ্য। এছাড়া পাদুকা কারখানায় পাদুকা তৈরীর সময় উৎসৃষ্ট বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলা হয় এবং অনেক সময় বর্জ্য একত্রিত করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় যা এলাকার আশে পাশের পরিবেশ দুষিত করে। ভৈরবে ছোট বড় মিলিয়ে ৮-১০ হাজার পাদুকা কারখানা রয়েছে। এসকল পাদুকা কারখানায় বছরে ৩৬০-৩৮০ টন পাদুকা বর্জ্য তৈরী হয়। উৎপাদিত পাদুকা বর্জ্যরে মধ্যে ২৫-৩০% বর্জ্য রিসাইক্লিন কারখানায় ব্যবহার হয়। উৎপাদিত বর্জ্যরে ৫-১০% পূর্ণ ব্যবহার হয় এবং প্রায় ৫০-৬০% বর্জ্য যেখানে সেখানে ডাম্পিং হয় যা পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। পাদুকা উৎপাদনে স্থানীয় উদ্যোক্তাগণ বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যাল ব্যবহার করে। কিন্তু এসকল কেমিক্যাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাদুকা শ্রমিকগণ কোন সাবধানতা অবলম্বন করে না। আবার এসকল কেমিক্যাল যুক্ত বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলার কারণে বৃষ্টির পানিতে মিশে খাল বিল, নালা ও ডোবায় যায় ফলে মাটি ও পানি দুষিত করছে ও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পাদুকা উৎপাদনে স্থানীয় উদ্যোক্তাগণ যাতে কারখানার কর্ম পরিবেশ উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে ও সঠিকভাবে বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা করতে পারে এ ব্যাপারে প্রকল্পের মাধ্যমে পরামর্শ ও সহযোগীতা প্রদান করা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় পপি, এসইপি প্রকল্পের উদ্যোগে ‘ভৈরবে পাদুকা ক্লাস্টারের পরিবেশ দূষণ রোধে পাদুকা কারখানায় উৎপাদিত বর্জ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা লক্ষ্যে করণীয়’’ বিষয়ে আজ ২৬ জানুয়ারি বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভৈরব উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালাার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পাদুকা উদ্যোক্তা, পাদুকা কারখানা মালিক সমবায় সমিতির প্রতিনিধি ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ। কর্মশালায় এসইপি প্রকল্পের কার্যক্রম ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন পপি-এসইপি প্রকল্প প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. বাবুল হোসেন।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়