ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

খালেদার অফিসে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের ১৫টি খাম

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২০, ২০ অক্টোবর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশে যখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের ঘোর ষড়যন্ত্র চলছে। শোনা যাচ্ছে, এই ঘটনার সঙ্গে কারা সংশ্লিষ্ট। ঠিক তখনই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজধানীর গুলশান কার্যালয়ে পাকিস্তান হাই কমিশন থেকে এলো ১৫টি খাম। তবে ওই খামগুলোতে কী লেখা ছিলো তা বিএনপির পক্ষ থেকে পরিষ্কার করা হয়নি।

দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্যমতে, বিগত কিছু দিন ধরেই বাংলাদেশে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলো পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইএসআই’। মূলত বাংলাদেশে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় তারা নতুন করে এই তৎপরতা শুরু করে। শুধু তাই নয়, একটি হোয়াটসআপ গ্রুপ খুলে তারা সেখানে বাংলাদেশের উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীকে উস্কানি দেওয়ার কার্যক্রমও চলমান রেখেছে। যার প্রেক্ষিতে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। করা হচ্ছে মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ কিংবা লুটপাটের ঘটনাও। ঠিক এমন সময়ই বাংলাদেশে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাস থেকে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে এলো ১৫টি খাম। তবে খামের ভেতরে কী ধরনের কাগজ আছে সে বিষয়ে জানা যায়নি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১৯ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটের দিকে পাকিস্তান হাই কমিশনের দ-৪৫-০৬২ নম্বরের গাড়িটি গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে আসে। এ সময় গাড়িতে শুধু চালক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। ওই গাড়ি থেকে চালক নেমে ১৪/১৫টি খাম গুলশান কার্যালয়ের সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা একজনের হাতে দিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে ওই সিকিউরিটি গার্ডকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোন চিঠি পাননি বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এই প্রতিবেদক তখন যোগাযোগ করে বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুদ্দিন নসুর সঙ্গে। তিনি বলেন, পাকিস্তান হাই কমিশন থেকে কেউ এসেছিল কি না তা আমি জানি না। আর কিছু দিয়েও গেছে কি না তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

এ বিষয়ে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পাকিস্তান হাই কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে গেলে, গেছে। তাতে সমস্যা কী? তারা কি চিঠি দিতে পারেনা একটি রাজনৈতিক দলকে? আর বুঝলাম না, চিঠি যদি দিয়েও যায়, তা কেন সবাইকে বলতে হবে? গোপন বলে একটা বিষয় তো প্রত্যেক ব্যক্তি বা দলের থাকে, তাই না? ধৈর্য্য ধরেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আগে চিঠিগুলো পড়ুক। তারপর যদি আপনাদের জানানোর দরকার হয়, অবশ্যই জানাবো। সঙ্গে আরেকটা কথা মনে রাখবেন, আকাশে চাঁদ উঠলে তা দেখা যাবেই। তাই অধৈর্য্য হবেন না। সবুরে মেওয়া ফলে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শুধু এবারই নয়। এর আগেও বাংলাদেশে যতবার এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের ঘটনা ঘটেছিল ততবারই এর পেছনে দৃশ্যমান ভূমিকা ছিল পাকিস্তানের। এমনকি এ নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সরাসরি পাকিস্তানের কাছে অভিযোগ করলেও মেলেনি কোন সদুত্তর। তাই এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, তারা এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। এমতাবস্থায় সরকারসহ আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকা দরকার, যাতে একাত্তরের পরাজিত এই শক্তিটি কোনভাবেই নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে পেছনের পথ দিয়ে ক্ষমতায় যেতে না পারে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়