ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

ড.মুহাম্মদ ইউনূসের ‘ক্ষুদ্রঋণ’ পুরোটাই সুদ, গরিবের জন্য মরণ ফাঁদ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ২ মে ২০২৪  

ড.মুহাম্মদ ইউনূস

ড.মুহাম্মদ ইউনূস

বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী ‘ক্ষুদ্রঋণ’ ধারণা আজ যেন মানুষের মৃত্যুফাঁদ। ড. ইউনূসের হাতে তৈরি এই ঋণের ফাঁদে মানুষ শুধু দরিদ্রই হচ্ছে না, ধীরে ধীরে নিঃস্ব হয়ে কেউ কেউ আত্মঘাতীও হচ্ছেন। আর এর দায়ভার পুরোটাই সুদভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণের। যার মূল কারিগর ড. ইউনূস।

ক্ষুদ্রঋণের চাপে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। গত মার্চ মাসের দুটি ঘটনা নাড়া দেয় পুরো দেশকে। মেহেরপুরে একজন গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। আরও একজন ব্যবসায়ী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। একই কারণে মুন্সীগঞ্জে দুই সন্তান নিয়ে একজন গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। শুধু এক মাসেই ৫ জনের মৃত্যুর কারণ এই ক্ষুদ্রঋণ!

ড. ইউনুসের বক্তব্য- মানুষের দারিদ্রতা দূর করার জন্য ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, উচ্চ সুদ এবং বড় বড় কিস্তির চাপ সইতে পারে না গরিব মানুষগুলো। সেই সঙ্গে কোনো একটি কিস্তি কোনোভাবে শোধ করতে না পারলে গালিগালাজ, অপমান করার ঘটনার নজির রয়েছে শত শত। গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মীরা গরিব মানুষদের সাথে যে ব্যবহার করে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না!

সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নেহাল করিম জানান, ক্ষুদ্রঋণের কারণে ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে। গরিব আরো গরিব হচ্ছে। যার ন্যূনতম একটা সম্মানবোধ আছে, তিনি হয়ত আত্মহত্যা করছেন। অনেকে জীবন বাঁচাতে ঋণ নিয়ে সেটারই ফাঁদে পড়ছে। যার ফলে এই ধরনের ঘটনায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে।

সেই হিসেবে বলা যায়, সুদের প্রবক্তা এবং পুরো বাংলাদেশকে সুদে ডুবিয়ে দেওয়া ড. ইউনূসের মাথা থেকে আসা ক্ষুদ্রঋণই আজ মানুষের গলার কাঁটা। হয়ে উঠেছে মৃত্যুর কারণ। তাই গ্রামীণ ব্যাংকের এই সুদি ঋণ গ্রহণ এবং ইউনূসের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়