ঢাকা, রোববার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

তিন বছরের কমিটিতে বিএনপির ৮ বছর পার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৫৪, ২৪ মার্চ ২০২৪  

তিন বছরের কমিটিতে বিএনপির ৮ বছর পার

তিন বছরের কমিটিতে বিএনপির ৮ বছর পার

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সর্বশেষ ষষ্ঠ কাউন্সিল হয় ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ। সেই কাউন্সিলে গঠিত তিন বছর মেয়াদি কমিটিতেই কেটে গেছে ৮ বছর। তবু সপ্তম কাউন্সিলের কোনো উদ্যোগ নেই। যদিও দলটির গঠনতন্ত্রে বলা আছে- প্রতিবার জাতীয় কাউন্সিলে ৩ বছরের জন্য জাতীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হবে।

বিএনপি নেতাদের দাবি- বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ৫ বছর ধরে রাজনীতি থেকে দূরে। শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে দলীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারছেন না তিনি। এছাড়া বারবার সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে দলটি এখন সাংগঠনিকভাবে চরম দুর্বল হয়ে পড়েছে। এসব কারণে নতুন কমিটি গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। চিকিৎসকদের ভাষ্য- তার রাজনীতিতে ফেরা অনেকটাই অনিশ্চিত। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া তো অন্যের সহযোগিতা ছাড়া চলাফেরাই করতে পারেন না। কমিটির বৈঠকেও কখনোই থাকেন না তিনি। ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বার্ধক্যজনিত কারণে অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। নানা কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুও বিদেশে অবস্থান করছেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারতে অবস্থান করছেন।

বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সক্রিয় আছেন কেবল মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমান। তবে তারাও নিয়মিত বৈঠকে উপস্থিত হন না। স্থায়ী কমিটির সব সদস্যকে কখনোই একসঙ্গে বৈঠকে পাওয়া যায় না।

সূত্র জানিয়েছে, বার্ধক্য ও অসুস্থতার কারণে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও জমির উদ্দিন সরকারকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।

আরো জানা গেছে, ২০১৬ সালের কাউন্সিলের পর থেকে ১৯টি স্থায়ী কমিটির সদস্য পদের মধ্যে ৫টি এখনো শূন্য রয়েছে। এছাড়া ৩৭টি ভাইস চেয়ারম্যান পদের মধ্যে ৯টি ফাঁকা রয়েছে। উপদেষ্টা কমিটি ও নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে কয়েকজন মৃত্যুবরণ করেছেন। কয়েকজনকে বহিষ্কার আর কয়েকজন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির ১৩০টির মতো পদ এখন শূন্য। তাছাড়া বয়সের কারণেও বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কর্মী সংকট, সাংগঠনিক দুর্বলতাসহ নানা কারণে দলের কাউন্সিল করা সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত পুরনো কমিটি দিয়েই কাজ চালাতে হবে। কাউন্সিল না হওয়ায় নতুন ও যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসছে না।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়