পাকিস্তান ক্ষমা চাইলে দুই দেশের মধ্যে নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠবে
নিউজ ডেস্ক
পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানী
একাত্তরে গণহত্যা চালানোর ঘটনায় অনেক পাকিস্তানি বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি সমর্থন করে বলে জানিয়েছেন দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানী।
তিনি বলেন, এই দাবি তাদের সবার, যারা বিশ্বাস করে সমষ্টিগত ক্ষমাপ্রার্থনা কষ্টমোচন করে। ক্ষমা চাইলে অতীতকে পেছনে ফেলে দুই দেশের মধ্যে নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।
গতকাল রোববার (০৫ ডিসেম্বর) রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানী।
পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে তিনি পাকিস্তানকে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের ওপর অত্যাচারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বলতেন। আর এই বিষয়টা আমার মতো আরও অনেক পাকিস্তানিও সমর্থন করে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, ক্ষমা চাইলে অতীতকে পেছনে ফেলে দুই দেশের মধ্যে নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নয়, তিনি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা।
এর আগেও একাত্তরের হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার জোর দাবি জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত ৩১ মার্চ ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাস এক ওয়েবিনারের আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে পাকিস্তানের সাবেক কূটনীতিক বলেন, পাকিস্তানের জনগণের উচিত তাদের সরকারকে আহ্বান করা, যাতে তারা বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে সংঘটিত সব ধরনের নির্যাতনের জন্য ক্ষমা চায়।
বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার হার, মাথাপিছু আয় ও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালের আগে বাংলাদেশ ভারতের অংশ ছিল এবং ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্তানের অংশ। এ থেকে বোঝা যায় স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ কতটা এগিয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মহান পিতার যোগ্য কন্যা অভিহিত করে হাক্কানী বলেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যাদের পরিবারকে কেড়ে নেওয়া হয়, তাদের মধ্যে সবাই সেই কষ্টকে শক্তিতে পরিণত করে মা-বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা এবং শেখ হাসিনার কর্মের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যার ভেতরে ও সীমান্তে কোনো সহিংসতা নেই।
- Metro-rail brings ease in capital`s nightmare transport system
- বিদেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ওপর : বাংলাদেশ ব্যাংক
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৫ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৬৪
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলবে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ
- করোনা চিকিৎসায় ২০০০ চিকিৎসক, ৫০৫৪ জন নার্স নিয়োগ
- প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদযাপন হবে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস
- চাষিদের লোকসান ঠেকাতে ক্ষেত থেকে সবজি কিনছে সেনাবাহিনী
- করোনার সময়ে জরুরি সাহায্য পেতে ফোন করুন