ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বিএনপি ইফতার খায় আর গিবত গায় : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১৯, ১৯ মার্চ ২০২৪  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি রমজান মাসে গরিব মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ না করে সরকারের সমালোচনা করে। নিজেরা ইফতার খায়, আর আওয়ামী লীগের গিবত গায়। এ ছাড়া কবে আওয়ামী লীগকে উৎখাত করবে—সেই স্বপ্ন দেখে। গতকাল সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ইফতার পার্টি না করে সারা দেশে গরিবদের মাঝে ইফতার বিতরণ করছে। এই রমজান মাসে আমি সবাইকে বলব, আপনাদের আশপাশে যেসব দরিদ্র সাধারণ মানুষ রয়েছে, তাদের পাশে দাঁড়ান। তাদের সহযোগিতা করুন।

সংযমের এই মাসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মূল্যস্ফীতিতে দেশের সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি বিএনপি। তারা ইফতার পার্টি করে করুক, কিন্তু আপনারা (আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী) মানুষের পাশে থাকবেন। এজন্যই মানুষ বারবার আমাদের ভোট দেয়। তারা (বিএনপি-জামায়াত) আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু তারা ভুলে যায়, দেশবাসী আওয়ামী লীগের পক্ষে আছে। সরকারের পতন ঘটানো এবং দেশকে ফের অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হবে না।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে গরিবের পেটে ভাত থাকে, মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলায় একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। আমরা সেটারই বাস্তবায়ন ঘটিয়ে যাচ্ছি। এটাই ওদের সহ্য হয় না। সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ ভালো থাকুক তারা তা চায় না।

আগে রাস্তা-ঘাটে হাড্ডিসার মানুষ দেখা যেত। কিন্তু আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরে টানা চার মেয়াদে দেশ পরিচালনার সুযোগে এখন আর সে অবস্থা নেই। যেখানে মানুষের পরিধেয় বস্ত্রের ঠিক ছিল না সেখানে এখন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানসহ সব মৌলিক এবং নাগরিক সুবিধাগুলো তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছেও পৌঁছাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে হাতের নাগালে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে মানুষকে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ধন-দৌলত-সম্পদ কেউ কবরে নিয়ে যেতে পারে না। কাজেই এর জন্য মারামারি, কাটাকাটি কেন? এগুলোতো রেখেই চলে যেতে হয়। এগুলো যতটা দিয়ে দেওয়া যায় এবং মানুষের কল্যাণ করা যায় সেটুকুই শুধু সঙ্গে থাকে। এটাই সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।

বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বলে। অথচ আমরাই কিন্তু গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। কেননা জাতির পিতাকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক স্বৈরশাসকের পকেট থেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে ওই দলের সৃষ্টি কোনো গণতান্ত্রিক ধারায় নয়। কাজেই তারা গণতন্ত্রের ভাষা বোঝে না। তারা কি গণতন্ত্র বানান করতে জানে? দেশে এবং নিজ দলের ভেতর গণতন্ত্র চর্চা করে আওয়ামী লীগ। অথচ তারা তোতা পাখির মতো বলেই যাচ্ছে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে। আজকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে বলেই তারা এত কথা বলতে পারে। দেশের মানুষ যদি কিছু পেয়ে থাকে, তা আওয়ামী লীগের হাত থেকেই পেয়েছে। স্বাধীনতা পেয়েছে, গণতন্ত্র পেয়েছে, গণতান্ত্রিক অধিকার পেয়েছে। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়