ঢাকা, রোববার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

বিএনপির সবার ঘরেই ভারতীয় পণ্য : সেতুমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৫৫, ২৬ মার্চ ২০২৪  

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বিএনপির ভারতীয় পণ্য বয়কট কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতাদের রান্নাঘরে গিয়ে খুঁজতে হবে কী কী ভারতীয় পণ্য রয়েছে। সবার ঘরেই ভারতীয় পণ্য মিলবে। রাজনীতি করার জন্য রিজভী একটা শাল পুড়িয়েছেন। আরও কয়টা শাল বাসায় আছে, জানতে হবে। ভারতীয় পণ্য ছাড়া খাবার জোটে না। রিজভীর মতো ফখরুলও মাথা গরম করলে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেব। গণহত্যা দিবস উপলক্ষে গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। দীর্ঘদিন পর রাজনীতি আবারও মাঠে ফিরল। গতকাল একই দিনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। রমজান মাস হলেও আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে প্রচুর মানুষের উপস্থিতি ছিল। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের কথার ঠিক নেই। মঈন খান বাংলাদেশের গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে ভারতের সহযোগিতা চান, অন্যদিকে রিজভী সাহেব ভারত বয়কট করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রিজভীর মতো মাথা গরম করে গায়ের কাশ্মীরি শাল ফেলে দেবেন না। মাথা বেশি গরম করলে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেব। বিএনপির কে কে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করে তা খুঁজে খুঁজে বের করব। তিনি আরও বলেন, আজকে পল্টন ময়দানে মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধার সমাবেশ করেছেন, জানতে চাই একাত্তরে আপনি কোথায় ছিলেন? কোথা থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন? কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন? ২৫ মার্চ গণহত্যা নিয়ে একটি শব্দ উচ্চারণ করেনি, এরা কারা? এরা পাকিস্তানের দালাল। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া, এটি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। হাতে গুনলে কয়জনকে পাবেন? যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না তারা কোনো দিন মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। বিএনপির প্রভু আছে, যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে ওকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো বিদেশি বন্ধু হস্তক্ষেপ করেনি। তিনি বলেন, বিএনপির কারণে আমরা আজও একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি পাইনি। পাকিস্তানের কাছ থেকে আমাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। পাকিস্তান একাত্তরের গণহত্যার জন্য একটিবারও দুঃখ প্রকাশ করেনি। আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি সভাপতিত্ব করেন।

তাদের কোনো সরকারও প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধের জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চায়নি। এ পাকিস্তানের যারা দালালি করে তারা স্বাধীনতার শত্রু। তিনি বলেন, বিএনপি পাকিস্তানের দালালি করে। এরা আমাদের শত্রু। এ শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, জেলে চার নেতাকে হত্যা করেছিল। জয় বাংলা, ৭ মার্চ নিষিদ্ধ করেছিল। সমাবেশে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, একাত্তরের ঘাতকদের প্রেতাত্মারা বাংলাদেশে আজও রাজনীতি করছে, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার ও দুঃখের বিষয়। প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যত দিন ক্ষমতায় আছে তত দিন ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করা হবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিএনপি সরকার ইতিহাস বিকৃতি করেছে। গণহত্যার আলামত ধ্বংস করেছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ভারত বিরোধিতার নামে বিএনপি-জামায়াত সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করতে চাইছে। এদের প্রতিহত করতে হবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়