ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় জাবি শিক্ষক

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ১১ নভেম্বর ২০২০  

জাবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ এ মামুন

জাবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ এ মামুন

যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত এক জরিপে এ বছরের বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধ্যাপক ড. এ এ মামুন। মঙ্গলবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেরা বিজ্ঞানীদের মধ্য থেকে শতকরা দুইজনকে নিয়ে প্রকাশিত এ তালিকায় স্থান পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

এদিকে অধ্যাপক ড. এ এ মামুনের সাফল্যের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এক অভিনন্দন বার্তায় উপাচার্য বলেন, অধ্যাপক ড. এ এ মামুনের এ সম্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি ও সুনাম আরও বৃদ্ধি করেছে। উপাচার্য বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এ এ মামুনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

অধ্যাপক ড. এ এ মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। একই সঙ্গে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে বিজ্ঞানে অসামান্য অবদানের জন্য পর পর তিনবার বর্ষসেরা গবেষক হওয়ার রেকর্ড রয়েছে তার। তার হাত ধরে বাংলাদেশের মাটিতে ডাস্টি ফিজিক্সের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে তিনি পদার্থের চতুর্থ অবস্থা প্লাজমা ফিজিক্স নিয়ে কাজ করছেন।

ড. মামুন প্লাজমা ফিজিক্সে অবদানের জন্য জার্মান চ্যান্সেলর পুরস্কার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে একাধিকবার ‘বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স’ গোল্ড মেডেলসহ দেশ-বিদেশে নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়া লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্স থেকে ডাস্টি প্লাজমা ফিজিক্সের ওপর যৌথভাবে প্রকাশিত হয়েছে ‘ইনট্রোডাকশন টু ডাস্টি প্লাজমা’।

আন্তর্জাতিক এই খ্যাতনামা গবেষক জাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে বিএসসি-এমএসসিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। এমএসসিতে সব বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। তার এমএসসির থিসিসের বিষয় ছিল ‘প্লাজমা ফিজিক্স’।

১৯৯৩ সালে জাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন তিনি। ওই বছর কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে ব্রিটেনের সেন্ট অ্যান্ডুজ ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করতে যান। ফিজিক্যাল রিভিউ লেটারস, ফিজিক্যাল রিভিউ ই. ইউরোপিয়ান ফিজিকস লেটারের মতো নামকরা জার্নালে তার গবেষণা কর্ম প্রকাশিত হয় এবং এ গবেষণাকর্মের ভিত্তিতে প্লাজমা বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন জার্নালে পাঁচ শতাধিক প্রবন্ধ লিখেছেন। দেশের সবচেয়ে বেশি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে পরপর তিনবার দেশসেরা ও বর্ষসেরা গবেষক নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়